বগুড়ায় মাইকিং করে মাছ ধরতে গিয়ে বাড়িতে হামলা-আগুন, আহত ১৩

বগুড়ার শেরপুরে মাইক দিয়ে ঘোষণা করে রামেডাঙ্গা বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মারামারি, অগ্নিসংযোগ ও বাড়িতে হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুঘাট ইউনিয়নের গোয়ালজানী গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন মাছ চাষী আবু সুফিয়ান (৩২), শহিদুল ইসলাম (৬০), আবু সাঈদ (৫৪), জয়নুল আবেদীন (৫০), আফরোজা বেগম (৩৬), জহুরুল ইসলাম (৩৮), মাসুদ রানা (৪৫), লিটন (৫৪), মেরিনা খাতুন (৪৫)। মাছ ধরতে আসা গ্রামবাসী কাউসার আহমেদ (৩০), জাহিদুল ইসলাম (৩২)। অন্য দুজনের নাম পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে গোয়াল জানি গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে খলিলুর রহমান, মৃত ইসা খন্দকারের ছেলে রফিকুল ইসলাম, হামিদের ছেলে মাসুদ, হাকার জামিল, মৃত আবেদ আলীর ছেলে আবু জাফেরে নেতৃত্বে বিলের পার্শ্ববর্তী হলদিবাড়ি, সাতারা, সড়ো, শুটিবাড়ি, মির্জাপুরসহ প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষ ওই বিলে মাছ ধরতে আসে। এ সময় আমাদের চাষ করা অংশে সুফিয়ান, আবু সাইদ, শহিদুল, জয়নুল আবেদীন বাধা দিতে গেলে গ্রামবাসী তাদের মারধর করে গুরুতর আহত করে।
আহত আমিনুরের স্ত্রী মেরীনা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামীকে মাছ ধরতে আসা লোকজন মারধর করছিল। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করে।’
আহত মোখলেছার রহমান বলেন, ‘আমাদের অংশে বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করছিলাম। বেড়া ভেঙ্গে মাছ ধরতে আসলে আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের মারধর করে। গ্রামবাসীরা বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুরসহ খড়ের পালায় অগ্নিসংযোগ করে।’
গ্রামবাসী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রামবাসী মাছ ধরতে এলে সুফিয়ানসহ তার ১০-১২ জন লোক আমাদের মারধর করে।’
গ্রামবাসী বাবলু, রফিকুল, কাজল জানান, এটা খাসের বিল। খাসের হওয়ায় গ্রামবাসীরা গত বুধবার রাতে মাইকিং করে বৃহস্পতিবার সকালে একসঙ্গে মাছ ধরতে নামে।
এ বিষয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে খড়ের পালার আগুন নেভানো হয়।
এ বিষয়ে শেরপুর থানা অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষের লিখিত অভিযোগ পাইনি।’
(ঢাকাটাইমস/৬মার্চ/মোআ)

মন্তব্য করুন