‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে তামাক কোম্পানির মতামত গ্রহণযোগ্য নয়’

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রক্রিয়ায় তামাক কোম্পানির কোনো মতামত গ্রহণ না করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম। সংগঠনটির দাবি, এই প্রক্রিয়ায় তামাক কোম্পানিকে সম্পৃক্ত করা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (WHO FCTC)-এর আর্টিকেল ৫.৩-এর লঙ্ঘন এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
বুধবার রাজধানীতে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘জনস্বার্থ বনাম তামাক কোম্পানির প্রভাব’ শীর্ষক কর্মশালায় এ দাবি জানানো হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী। তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাকজনিত কারণে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যান এবং কয়েক লক্ষ মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেন।
ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৪৪২ জন মানুষ তামাকের কারণে অকালে মারা যাচ্ছেন। অথচ সরকার আইন সংশোধনের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে বরং তামাক কোম্পানির মতামত নিচ্ছে, যা জনস্বার্থের পরিপন্থী।
কর্মশালায় বক্তারা আরও বলেন, তামাক কোম্পানির লক্ষ্য মুনাফা অর্জন, জনস্বাস্থ্য নয়। তাই তাদের মতামত গ্রহণ করা মানেই জনস্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করা। তারা দ্রুত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত সংশোধিত আইন অনুমোদন ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলোর মধ্যে রয়েছে— শতভাগ পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহন ধূমপানমুক্ত করা, বিক্রয়স্থলে পণ্যের প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির CSR কার্যক্রম বন্ধ করা, ই-সিগারেটসহ নতুন তামাকজাত পণ্যে নিয়ন্ত্রণ, প্যাকেটে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা ৯০% করা এবং খুচরা ও মোড়কবিহীন তামাক বিক্রি নিষিদ্ধ করা।
অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা নাইমুল আজম খান, সমন্বয়ক ডা. অরুনা সরকার, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন