বগুড়ায় আলুর বাম্পার ফলন হলেও লোকসানে চাষি

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৯ মার্চ ২০২৫, ১২:১০| আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৯
অ- অ+

বগুড়ার শেরপুরে আলু চাষে ফলন ভালো হলেও চাষিদের চোখে মুখে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। শুরুতে আলু চাষে বাড়তি খরচ হওয়ায় প্রতি বছরের চেয়ে এবার বিঘাপ্রতি প্রায় ১০ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। খরচের তুলনায় দাম অনেকটা কম হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন আলুচাষিরা।

গত বছর আলুর দাম বেশি হওয়ায় এবার কৃষকরা লাভের আশায় বেশি করে আলু চাষ করেছিলেন। ফলন ভালো হলেও লসের হিসাব গুনছেন তারা।

শেরপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৭শ ৬৫ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবার বেশি জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় মালিহাটা, বোডেরহাট, আয়রা, উচড়ং, কেল্লার কৃষকদের সঙ্গে। তারা জানান, গত বছর আলুতে লাভ বেশি হওয়ায় আলুর চাষ বেড়ে গেছে। যার ফলে শুরুতে আলুর বীজ সংকট হওয়াতে বেশি দামে বীজ ক্রয় করে চাষ করা হয়েছে। আলুর জমিতে ভাইরাসের তেমন প্রাদুর্ভাব ছিল না, ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু দাম না থাকায় গুনতে হচ্ছে লোকসান।

বোডের হার্ট এলাকার মোতালেব হোসেন বলেন, ‘৪০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। এবার প্রতি বিঘাতে গড়ে ৬৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। কিছু জমি থেকে আলু তোলা শুরু করেছি। প্রতি বিঘাতে ৯০ থেকে ১২০ মণ আলুর উৎপাদন হচ্ছে। দাম কম হওয়ায় বিক্রয় না করে কোল্ড স্টোরেজে রাখা হচ্ছে। তবে এবার লাভের চেয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে বেশি আমাদের।’

আলুচাষি শামিম ও শাফি জানান, আমরা দুজনেই ২শ বিঘার বেশি জমিতে আলু চাষ করেছি। ঢাকায় বিক্রয়ের জন্য অগ্রিম আলু চাষ করেছিলাম। সেগুলো বিক্রয় করা হয়েছে। এতে প্রতি বিঘা গড়ে ১৭ হাজার টাকা করে লস হয়েছে। সেই সময় বিক্রয় করছি ১২ টাকা দরে প্রতি কেজি।

আলুচাষি কামাল হোসেন জানান, আমি ১০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। লেট ব্রাইট ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়াতে ঘন ঘন কীটনাশক দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ বেশি হয়েছে। তাছাড়া বীজ, সার, লেবার সব মিলিয়ে নিজের জমি বিঘাপ্রতি ৫০ হাজার টাকার খরচ হয়েছে। বর্তমানে লস গুনতে হচ্ছে।

শেরপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জিএম মাসুদ জানান, এ ব্যাপারে কৃষকদের সচেতন করার লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

শেরপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা আক্তার বলেন, কৃষকরা যেন ক্ষতির সম্মুখীন না হন সে জন্য সবসময় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এখনো আলু তোলা সম্পূর্ণ শুরু হয়নি। ফলনের বিষয় এখনই বলা যাচ্ছে না। বর্তমানে আলুর বাজার কম হলেও আলু তোলা পুরোদমে শুরু হলে কোল্ড স্টোরেজ ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাবে সে ক্ষেত্রে দাম বাড়তে পারে।

(ঢাকা টাইমস/০৯মার্চ/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এপ্রিলের ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার
নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই সব দেনা পরিশোধ করল পেট্রোবাংলা
ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়, বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা