প্রলোভনে ধর্ষণ, গোপনে ভিডিও করে স্কুলছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করলো আরেক যুবক

বগুড়ার শেরপুরের ধনকুন্ডি এলাকায় স্কুলছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. সুজন (২০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে ধনকুন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সিমাবাড়ী ইউনিয়নের ধনকুন্ডি গ্রামের আরজিনা বেগম ওমেরা গ্যাস কোম্পানির লোকদের তার বাড়ি থেকে রান্না করে খাওয়াতেন। সেই সুবাদে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা এলাকার সৈয়দ আলী সরকারের ছেলে তাজুল ইসলামের সেই বাড়িতে যাতায়াত ছিল। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ফুঁসলিয়ে আরজিনা খাতুনের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন তাজুল ইসলাম। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ আগস্ট রাত ৯টার দিকে স্কুলত্রীর শয়ন কক্ষে ঢুকে তাকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করেন তিনি। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দেন অভিযুক্ত তাজুল। ঘটনাটি স্কুলছাত্রীর অগোচরে সিমাবাড়ী ইউনিয়নের ধনকুন্ডি গ্রামের মো. এজাব আলীর ছেলে মো. সুজন মোবাইল ফোনে ভিডিও করেন। পরবর্তীতে সুজন এ ভিডিও ওই ছাত্রীকে দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হলে গত ৫ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে তার মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দেবে বলে হুমকি দিয়ে সুজনও তাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে স্কুলছাত্রীর ওই ভিডিও সুজন তার সহযোগী একই গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে সুলতান, মৃত কুদ্দুসের ছেলে মো. রুবেল ও হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুর সহযোগিতায় তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর মা আরজিনা খাতুন বাদী হয়ে শনিবার রাতে শেরপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে মো. সুজনকে আটক করে থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “মামলার প্রেক্ষিতে দুই নম্বর আসামি সুজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
(ঢাকাটাইমস/১০মার্চ/এফএ)

মন্তব্য করুন