গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত বেড়ে ৩২৬, ফের বাড়িঘর ছাড়ার নির্দেশ

গাজায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলায় কমপক্ষে ৩২৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যা হামাসের সঙ্গে দুই মাস ধরে চলমান ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি ভেঙে দিয়েছে। বোমায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকেই চাপা পড়ে থাকায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপকারী ইসরায়েল বেশ কয়েকটি এলাকার জন্য নতুন করে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির আদেশ জারি করেছে। খবর আল জাজিরার।
মঙ্গলবার গাজাজুড়ে হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এবং রাফাহ, উত্তরে গাজা সিটি এবং দেইর এল-বালাহর মতো কেন্দ্রীয় এলাকা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় নিহতদের অনেকেই শিশু।
গাজা শাসনকারী হামাস বলেছে, ইসরায়েল ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি একতরফা বাতিল করেছে।
“নেতানিয়াহু এবং তার চরমপন্থি সরকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যার ফলে গাজার বন্দিদের অজানা পরিণতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে," হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে।
তারা আরব ও ইসলামি দেশগুলোর জনগণকে এই হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর সব প্রচেষ্টাকে নষ্ট করার অভিযোগ করেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, বন্দিদের মুক্তি দিতে বা যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে রাজি না হওয়ার জন্য তিনি হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এখন থেকে ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে পদক্ষেপ নেবে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী টেলিগ্রামে জানিয়েছে, তারা হামাসের ‘সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক হামলা’ চালাচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেছেন, ইসরায়েল এই হামলা সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পরামর্শ করেছে।
(ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/এফএ)

মন্তব্য করুন