শাহআলীতে পূর্বশত্রুতার জেরে মারামারি, সাতজনকে গ্রেপ্তার করল ডিবি

রাজধানীর শাহআলী এলাকায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে মারামারির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শান্ত ইসলাম (২২), সিজয় আহমেদ ওরফে রমজান আলি(২৫), মো. আলম (৩৮), রবিউল ইসলাম রুবেল ওরফে ডুক্কু রুবেল (৩০), মো. ইয়াকুব আলী (৩০), মো. আমিনুল ইসলাম (৩০) ও মো. সোহেল (৩১)।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবির মিরপুর বিভাগের সদস্যরা। ডিএমপির উপ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মামলার বাদী মো. জহিরুল ইসলাম শাহআলী থানা যুবদলের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। গত ১৪ এপ্রিল যুবদল কর্মী রাব্বি খান সঙ্গীয় লোকজনসহ ছাত্রজনতা হত্যায় অভিযুক্ত যুবলীগের ৯৩ নং ওয়ার্ডের ইউনিট সভাপতি শরিফকে আটক করে। বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানালে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে পৌঁছার আগে আসামি রফিকুল ইসলাম বগা বাবু তার অনুসারীদের নিয়ে শরিফকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই নিয়ে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বাদীর কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে গত ১৫ এপ্রিল রাতে শাহআলী থানাধীন ঈদগাহ মাঠে সংলগ্ন ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজের অফিসে এসে গ্রেপ্তারকৃরাসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা বাদী মো. জহিরুল ইসলামকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু অফিসের লোকজন বাধাঁ দেয়ায় তাকে নিতে পারেনি।
পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, চাপাতি, রামদা, আগ্নেয়াস্ত্রসহ বেআইনি জনতাবদ্ধে অতর্কিতভাবে অফিসের সামনে পাকা রাস্তার তাদের ওপর হামলা করে। আসামি রবিউল ইসলাম রুবেল বাদীকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এছাড়াও মনির হোসেনকে হত্যার উদ্দেশে কোপ মেরে বাম হাতের কনুইতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে রুবেল। আরেক আসামি ইয়াকুব হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে বিল্লাল হোসেনকে বাম কানের পিছনে এবং বাম হাতের বাহুতে কোপ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আসামি রবিউল ইসলাম রুবেল হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে আক্তারকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা বিভিন্ন প্রকার ভীতি প্রদর্শন করে এবং আসামি ইয়াকুব তাদের দিকে ককটেল ছুড়ে স্থান ত্যাগ করে।
হামলার এ ঘটনায় বাদী মো. জহিরুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শাহআলী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। এ মামলায় আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা পূর্বশত্রুতার জের ধরে মারামারির ঘটনায় জড়িয়েছে মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৭এপ্রিল/এলএম/এমআর)

মন্তব্য করুন