খাদিজা হত্যাচেষ্টা: বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ

সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত। অভিযোগপত্রে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা বদরুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম উম্মে সরাবন তহুরা অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ২৯ নভেম্বর অভিযোগ শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
সিলেট জেলা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শামসুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকালে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র উপস্থাপন করলে বিচারক তা গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে আগামী ২৯ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করেন।
খাদিজাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনার এক মাস ১২ দিন পর গত ৮ নভেম্বর আদালতে বদরুলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। সিলেটের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ। চাঞ্চল্যকর এই মামলাটিতে মোট ৩৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
গত ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে খাদিজাকে চাপাতি দিয়ে কোপায় শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। কোপানোর এই ভিডিও পরদিনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা বদরুলকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরদিন নগরীর শাহপারান থানায় বদরুলকে আসামি করে মামলা করেন খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস।
এরও একদিন পর সিলেট আদালতে তোলা হলে বদরুল এই ঘটনায় নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তিনি জানান, প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় তিনি খাদিজাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর ৪ অক্টোবর খাদিজাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিনই তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। প্রথমদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন খাদিজার বাঁচার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
অস্ত্রোপচারের ১০ দিন পর ১৩ অক্টোবর খাদিজার লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়। পরে তার হাতে আরেক দফা অস্ত্রোপচার করা হয়। খাদিজার অবস্থা এখন উন্নতির পথে।
(ঢাকাটাইমস/১৫নভেম্বর/এমআর)

মন্তব্য করুন