দুর্নীতি মামলা স্থগিত চেয়ে খালেদার আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:০১| আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৫:১০
অ- অ+

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মঙ্গলবার সকালে তার আইনজীবীরা আবেদনটি জমা দেন।

বিচারপতি ফরিদ আহমদ ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে বুধবার এই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূইয়া।

বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে মামলাটির বিচার কাজ চলছে। মামলাটিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষের ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ১ ডিসেম্বর সর্বশেষ শুনানিতে খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেয়া লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনানোর সময় ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন খালেদা জিয়া। তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আগামী ৮ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য ও খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থেনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

জাকির হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, এ মামলায় দুদকের পক্ষে ৩২ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি দিয়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহণের নিয়ম হলো জবানবন্দি দেয়ার পূর্বে নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী শপথ নেয়া। কিন্তু একজন সাক্ষীও এ শপথ গ্রহণে করেননি। তাই তাদের জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।

এ মামলায় খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান জামিনে রয়েছেন। এ দুইজন ইতিমধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।

এ মামলায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশিদকে পুনরায় জেরা করার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার এ আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করে দিলে তিনি লিভ টু আপিল করেন। আপিল বিভাগ তার লিভ টু আপিল গ্রহণ করে গত ৮ সেপ্টেম্বর দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা হারুন-অররশিদকে জেরা করার অনুমতি দেন। হারুন-অর-রশিদের জেরা করা সম্পন্ন করেছে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।

(ঢাকাটাইমস/০৬ডিসেম্বর/এমএবি/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
উপজেলা বিএনপি সভাপতির নির্দেশে ঢাবি ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ
কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৬৮তম সভা অনুষ্ঠিত
সিলেটের সাদা পাথর লুটের ঘটনায় সিআইডির অনুসন্ধান শুরু
ডাকসুর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ: প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সর্বমোট ৪৭১ জন প্রার্থী
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা