বইমেলায় প্রাণের সঞ্চার

সৈয়দ ঋয়াদ
 | প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৬:৩০

চলছে পাঠক, লেখক, প্রকাশকদের প্রাণের উৎসব অমর একুশে গ্রন্থমেলা। শুধু বইপ্রেমী নয়, এই মেলা সবার জন্যেই উৎসব নিয়ে এসেছে। মেলার প্রথমদিন উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতায় কেটেছে। কোনো কোনো স্টল বই সাজানোর মধ্যেই ছিলো। দ্বিতীয় দিনে ছিল সেই রেশ।

তবে পাঠকের আগমন সন্ধ্যের পর থেকে বাড়ছে। তা দেখে মেলার বুঝি শেষ সময় চলছে! অথচ মেলা তো শবে শুরু। অন্যান্য বছরের তুলনায় মেলার এবারের আয়োজন কেমন যেনো খাপছাড়া। মেলার দুই মাঠের মাঝের প্রধান সড়কে আগের বছরের মতো সাজ-সজ্জা নেই। এগুলো থাকলে কিন্তু ঢোকার আগেই মেলার আমেজ পাওয়া যেত। দূর থেকেও মেলা আকর্ষণ করতো।

তবে একবার ভেতরে গিয়ে বইয়ের রাজ্যে ডুবে গেলে কিন্তু আর কিছু মনে থাকবে না। ভেতরে আবার সব পরিপাটি-গোছানো। পাঠক আর দর্শনার্থীদের হাটার জন্য রাস্তায় বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ইট।

বইয়ের স্টলগুলোর সামনে পাঠকদের আনাগোনা, সেই সঙ্গে কেউ কেউ পছন্দের বইও কিনে নিচ্ছেন। মেলার ভেতরে ছোট ছোট দলে চলছে খোশগল্প। পুরোনোর পাশাপাশি মেলাকে ঘিরে নতুন লেখকরাও মেতেছেন আড্ডায়। প্রিয় লেখকের বইয়ের ঘ্রাণ যেন পাঠকের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। তাই পাঠক লেখক আর প্রকাশকদের পদচারণায় প্রাণ সঞ্চার হয়েছে একুশে বই মেলায়।

এক ঝলক

বাংলা একাডেমির তথ্য কেন্দ্র থেকে জানা যায়, এবারের মেলায় ৪০৩ টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের জন্য ৬৬৩ ইউনিট তৈরি হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে রয়েছে ৫৪৯টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমির অংশে ১১৪টি ইউনিট। এছাড়া বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রয়েছে লিটলম্যাগ চত্বর, সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কিছু স্টল। গতবারের মেলায় ইউনিট ছিল ৬৩৭টি, এবার ২৬টি বেড়েছে। ব্যতিক্রম হয়নি শিশু চত্বরেরও। অন্যান্য বছরের মতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে শিশুদের জন্য তৈরি হয়েছে শিশু চত্বর। রয়েছে তাদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থাও।

ছবি : শেখ সাইফ

(ঢাকাটাইমস/০৩জানুয়ারি/এসআর/টিএমএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :