এবার র্যাবের চেকপোস্টে হামলার চেষ্টা, সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত

আশকোনায় র্যাব কার্যালয়ে আত্মঘাতী হামলার চেষ্টার একদিনের মাথায় এবার একই ঘটনা ঘটেছে এলিট ফোর্সটির একটি চেকপোস্টে। শনিবার ভোররাতে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে র্যাব-৩ এর একটি চেকপোস্টে হামলার চেষ্টা চালায় সন্দেহভাজন এক জঙ্গি। এ সময় র্যাবের গুলিতে ওই ব্যক্তি মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন র্যাবের দুই সদস্য।
র্যাব-৩ এর প্রধান তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ সাংবাদিকদের জানান, শেখের জায়গার সামির আলী সড়কে র্যাবের একটি তল্লাশি চৌকি ছিল। সেখানে মোটর সাইকেলে করে এক যুবক যাচ্ছিল। র্যাব সদস্যরা তাকে থামতে বললে তা অগ্রাহ্য করে এগিয়ে যেতে চায়। এ সময় ওই যুবক র্যাবের ওপর কিছু একটা ছুড়ে মারতে চায়। তখন র্যাব সদস্যরা তাকে গুলি করেন। এতে ওই যুবক ঘটনাস্থলেই মারা যান।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, ওই যুবকের কাছে একটি ব্যাগ ছিল, তাতে বোমা রাখা ছিল। এছাড়া গায়ে বেল্ট বাঁধা ছিল তাতেও বিস্ফোরক পাওয়া গেছে। বোমা নিষ্ক্রিয় দল সেগুলো নিষ্ক্রিয় করার কাজ করছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আনোয়ার হোসেন, খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মাইনুল ইসলাম, সিআইডির ফরেনসিক টিমসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। র্যাব সদস্যদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গতকালের জঙ্গি হামলার সঙ্গে এই ঘটনার যোগসূত্র আছে বলে ধারণা করছে র্যাব।
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের আগে আগে উত্তরার আশকোনায় র্যাবের নির্মাণাধীন কার্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ডিঙিয়ে ভেতরে ঢুকে যান একজন। র্যাব সদস্যরা তাকে চ্যালেঞ্জ করলে গায়ে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটান তিনি। এতে দুই র্যাব সদস্য আহত হওয়ার পাশাপাশি ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ওই সন্দেহভাজন জঙ্গির দেহ। র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয় এটা জঙ্গি হামলা। পরে সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের নামে এই হামলার দায় স্বীকার করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠীটি প্রথমে আরবি ভাষায় প্রচারিত আমাক নিউজ এজেন্সিতে এবং পরে বাংলা সাইট আত তামকিনে এই দাবি করে।
এর আগে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সন্দেহভাজন দুটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযানেও আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। বুধবার সীতাকুণ্ডের সাধন কুঠির থেকে আটক করা হয় এক নারী ও এক পুরুষকে। এদের মধ্যে ওই নারীর কোমরে বোমা বাঁধা ছিল। পুলিশ বলছে, আটকের আগে ওই নারী বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করলেও একজন সময় মতো তার দুই হাত ধরে ফেলায় তিনি সক্ষম হননি।
এই দুইজনের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে পাশের ছায়ানীড় ভবনে অভিযানে যায় পুলিশ। প্রায় ১৮ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখার পর ওই বাড়িতে ঢুকে পুলিশ। এ সময় ভেতর থেকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে নিহত হয় চারজন। আর পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় আরও একজন।
(ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/এএ/জেবি)

মন্তব্য করুন