সরকারি হাসপাতালে খোলা হচ্ছে চিকুনগুনিয়া হেল্প ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১০ জুলাই ২০১৭, ২১:৩০| আপডেট : ১০ জুলাই ২০১৭, ২১:৩২
অ- অ+
ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে চিকুনগুনিয়া পরিস্থিতি মোকাবেলায় হেল্প ডেস্ক খোলা হচ্ছে। পাশাপাশি চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত রোগীদের শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধির ব্যথা প্রশমনে প্রতিটি হাসপাতালে প্রয়োজনে জয়েন্ট পেইন ক্লিনিক বা আর্থালজিয়া ক্লিনিক খোলারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এখান থেকে রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি বা ঔষধ সেবনের পরামর্শ দেয়া হবে। দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলা ও উপজেলা হাসপাতালেও এই সেবা দেয়া হবে।

সোমবার এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের সব হাসপাতালের পরিচালক, বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের কাছে মন্ত্রীর এই নির্দেশনা পৌঁছে দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।

এর আগে চিকুনগুনিয়া পরিস্থিতি পর্যাবেক্ষণের জন্য পাবলিক হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার (চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণ কক্ষ) খোলা হয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।

এ ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করার জন্য একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এর আওতায়।

চিকিৎসক ও সাধারণ জনগণের প্রশ্নের জবাব দেয়ার জন্য সার্বক্ষণিক হটলাইনও চালু করা হয়েছে যার ফোন নম্বর হচ্ছে ০১৯৩৭-১১০০১১, ০১৯৩৭-০০০০১১।

চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য www.iedcr.gov.bd লিংকটি ভিজিট করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, চিকুনগুনিয়া ঢাকা মহানগরীতেই সীমাবদ্ধ, এ রোগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েনি।

তিনি আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এখনো ঢাকার বাইরের লোকেরা চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়নি, সুতরাং এটি ব্যাপক আকারে ছড়ায়নি।’

জাহিদ বলেন, ‘চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য আমরা পর্যপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছি, এর পাশা পাশি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় এ রোগ যাতে আর ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য সিটি করপোরেশনকে এডিস মশা নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।

এদিকে রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ঢাকা শহরে প্রতি ১১ জনের মধ্যে এক ব্যক্তি এক চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত এটি সত্য নয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রায় পাঁচশ ডাক্তার ও নার্সকে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা শহরের চার হাজার ৭৭৫ জনকে আইসিডিআর দ্বারা পরিচালিত একটি জরিপ অনুসরণ করে চিকুনগুনিয়ার উপস্থিতি জানতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এতে ৩৫৭ জন জ্বর ও গিরা ব্যথায় ভুগছেন বলে জরিপের তথ্যে জানানো হয়।

এদিকে, ঢাকা শহরের ৪৭টি ওয়ার্ডের ৫০টি স্থানকে চিকুনগুনিয়া এলাকার ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
শেখ হাসিনার অপকর্মের খবর রাখতেন বলেই সাগর-রুনিকে হত্যা করা হয়েছে: সালাম আজাদ
আল্লামা সুলতান যওক নদভীর ইন্তেকালে জামায়াত আমিরের শোক
এমন দেশ চাই যেখানে ফ্যাসিস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না: ব্যারিস্টার অসীম
বগুড়ায় দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা