বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে ডিএমপির বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে থার্টি ফাস্ট নাইটকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ‘বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট ২০১৯ উপযাপন’ উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা।
এসময় সকলকে বড়দিনের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে পুলিশকে সহযোগিতার আহবান জানান ডিএমপি কমিশনার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছে- প্রত্যেকটি চার্চে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে; প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে দেয়া হবে; মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশী করা হবে; অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে; নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও এ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। থাকবে চার্চ এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
চার্চ এলাকায় কোন ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেয়া হবে না। কোন প্রকার ব্যাগ, ট্রলিব্যাগ ও ব্যাগপ্যাক নিয়ে চার্চে আসা যাবে না; এছাড়া কোনও উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে কোন গান-বাজনা করা ও আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। যেকোন ধরণের ডিজে পার্টি নিষিদ্ধ থাকবে।
থার্টি ফাস্ট নাইটে আইডি কার্ড ব্যতীত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। গাড়ি প্রবেশের ক্ষেত্রে ঢাবি’র স্টিকার থাকতে হবে এবং প্রবেশের ক্ষেত্রে পূর্বের ন্যায় শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকা ব্যবহার করতে হবে।
ঢাকাটাইমস/১৯ডিসেম্বর/এসএস/ডিএম

মন্তব্য করুন