কালিয়াকৈরে ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পারাপার

আশিকুর রহমান, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)
  প্রকাশিত : ০৬ মার্চ ২০২০, ১৮:১২
অ- অ+

গাজীপুরের কালিয়াকৈর মহাসড়কে ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় চরম জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেপরোয়া মহাসড়কে পারাপার হচ্ছেন হাজারও পথচারী। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে মৃত্যুসহ ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দেশের ব্যস্ততম সড়কগুলোর মধ্যে একটি। ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের সহলভ্যতা আনার জন্য এই মহাসড়কটি চার লেন করা হয়েছে। এছাড়া যানজটের ভোগান্তি নিরসনে নির্মাণ করা হচ্ছে বেশকিছু উড়াল সড়ক। ফলে যানজটের ভোগান্তির অবসান ঘটলেও মহাসড়কে পথচারীদের পারাপারে ভোগান্তি দিনদিন বেড়েই চলছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে কর্মজীবী মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এই মহাসড়ক।

সরজমিনে দেখা গেছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা বাস টার্মিনাল, পল্লীবিদ্যুৎ, সফিপুর, মৌচাকসহ আরও কিছু জনবহুল এলাকায় মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণভাবে সড়ক পারাপার হওয়ার দৃশ্য। কোথাও নেই সড়ক পারাপারে নিরাপত্তার জন্য জেব্রাক্রসিং বা ফুটওভার ব্রিজ। ফলে দিশেহারা হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছে পথচারীরা। সম্প্রতি কিছু মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ জোড়া পাম্প এলাকায়। সড়কে ঝরেছে বেশকিছু প্রাণ।

হাইওয়ে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অধিকাংশ দুর্ঘটনা সড়ক পারাপারের সময় হয়েছে। তবুও সড়ক পারাপারে এখনো পর্যন্ত কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়নি সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

এদিকে উপজেলার চন্দ্রা বাস টার্মিনাল এলাকায় মহাসড়কে যত্রতত্র গাড়ি থামানো এবং ট্রাফিক আইন অমান্য করে উল্টো পথে লাগামহীন যানবাহন চলাচলের কারণে সড়ক পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। প্রায় প্রতিনিয়তই সেখানে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। বিভিন্ন দিক থেকে ধেয়ে আসা বাস, মাইক্রোবাস, ট্রাকের মুখোমুখি হচ্ছে পথচারী ও স্কুল কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে চন্দ্রা ট্রাফিক পুলিশ বক্সের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা শিপলু মিয়া ঢাকা টাইমসকে জানান, আমরা পথচারীদের নিরাপত্তা নিয়ে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। এখানে ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক পারাপারের সময় সিগন্যাল ফেলে নিরাপদে পারাপার করে দেয়া হচ্ছে। তবে মহাসড়কে ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় সড়ক পারাপারে চরম ঝুঁকিপূর্ণতার কথা স্বীকার করলেন তিনি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাজীপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুদ্দিন আহম্মেদ বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, চন্দ্রা এলাকার দায়িত্বে আমাদের প্রজেক্ট ম্যানেজার রয়েছেন। তার সঙ্গে কথা বলেন। এটা তিনি বলতে পারবেন।

এ বিষয়ে প্রজেক্ট ম্যানেজারের ব্যবহৃত ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

(ঢাকাটাইমস/৬মার্চ/কেএম/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে বিএমএসএফ
বিমান বিধ্বস্ত: নিহত বেড়ে ৩২, আইসিইউতে মারা গেল ৯ বছরের শিশু নাফি
ড. ইউনূসের পাশে বিএনপি-জামায়াতসহ চার দল, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের ডাক
নিহত শিক্ষক মাহরিন চৌধুরী চিরনিদ্রায় শায়িত, ছিলেন জিয়াউর রহমানের ভাতিজি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা