বাংলাদেশকে কেন খাটো করা হল ‘এক্সট্রাকশন’ মুভিতে?

কিশোর বয়স থেকেই মার্ভেল সিরিজের ফ্যান আমি। তার মধ্যে ‘আয়রন ম্যান’ ও ‘থর’ ছিল একটু বেশি প্রিয়। সেই সুবাদে ক্রিস হেমসোয়ার্থও পছন্দের তালিকায় থাকা একজন নায়ক। সোস্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা দেখে এবং নিজের দেশের কাহিনী সংশিষ্ট আছে শুনে দেখার আগ্রহ জাগলো ক্রিস হেমসওয়ার্থ অভিনীত ‘এক্সট্রাকশন ২০২০’ সিনেমাটি। যার প্রথম নামকরণ হয়েছিল ‘ঢাকা ২০২০’।
এভেঞ্জারস ইনফিনিটি ওয়ার ও এন্ডগেম-এর পরিচালক ‘জো রুসো’ স্যার লিখেছেন স্ক্রিপ্ট। এটাও বাড়তি আগ্রহ যোগ করে আমার মধ্যে। সাধারণত সিনেমা দেখতে বসলে আমি একাগ্রহ চিত্তে মন দিয়ে একটানা দেখি। এ্যাকশন দৃশ্য, ক্যামেরার কাজ ও কারিগরি দিকগুলো ছিল অসাধারণ। হতেই হবে মার্ভেল সিরিজের সিনেমা করা লোকজনের কাজ। অসাধারণ এ্যাকশন আর ক্যামেরার কাজ।
বাংলাদেশ ছাড়া অন্য যে কোন দেশের নাগরিকই কোনো দ্বিধা ছাড়া উপভোগ করতে পারবে। প্রিয় নায়কের এই সিনেমাটা দেখতে বসেছিলাম একরাশ বিনোদন ও ভালোলাগার অনুভূতি পাবার লোভে। কিন্তু ছবির মাত্র ১৫-২০ মিনিট পর থেকে বারবার ব্রেক নিতে বাধ্য হলাম।
(Spoiler alerts যারা দেখেননি সিনেমাটি তারা এটা পড়লে গল্প সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে যাবেন তাই পরে পড়তে পারেন) গল্পের প্লট ও আবহ তৈরির ব্যাপারে হোঁচট খেয়েছি। সিনেমার অনেকগুলো অসঙ্গতি চোখে পড়লো যা একজন বাঙ্গালীর চোখ দিয়ে না দেখলে কেউ বুঝতে পারবে না। ৬৫ মিলিয়ন ডলার বা ৫০০ কোটির বেশি টাকা খরচ করা সিনেমাতে এই ভুল বা অন্যায়গুলো মেনে নেওয়াটা কষ্টকর।
ডিরেক্টর একটু সচেতন হলেই এড়াতে পারত বা তারা ইচ্ছে করেই এটা করেছে। যেমন কমন কিছু ব্যাপার- বাংলাদেশের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কিছু সদস্য তাদের এক্টিভিটিস আছে কিন্তু তাদের গাঁয়ের পোষাকের রঙ আমাদের পুলিশের পোষাকের সাথে মেলানো কষ্ট হয়ে গেল। যা হোক সেটা অত সিরিয়াসলি নিলাম না হয়ত বিদেশি পরিচালক তাই এতো খেয়াল করতে পারেনি। এরপরে যখন দেখলাম পুলিশের গাড়ি হিসেবে যেগুলো উপস্থাপন করেছে সেসব গাড়ি কখনও আমাদের পুলিশে ব্যবহার হয় না। গাড়িতে পুলিশের যে লোগো লাগিয়েছিল সেই লোগো ইহ জনমেও দেখিনি।
অনেক বড় বড় মাদক ব্যবসায়ী দেশে আছে, টেকনাফে বা ঢাকায়। তবে যে দেশের কালচার যেমন বা বাস্তবতা যেমন সেই রকম লুক দিতে হবে। কিন্তু সিনেমার ভিলেন এর চামচা গুলোকে দেখে আপনি সোমালিয়ার জলদস্যুদের কথা মনে করবেন। ছোট ছোট শিশুর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র অস্ত্র তুলে লুটেরা বাহিনী বা আইএস জঙ্গির মত অস্ত্রহাতে ঘুরে বেড়ায় দিন দুপুরে।
মেক্সিকো আর আমেরিকার যে পার্থক্য পর্দায় দেখে থাকি আমরা, বাংলাদেশ ও ভারতের একই পার্থক্য দেখাতে চাওয়া পরিচালকের ধৃষ্টতা বৈকি।
সিনেমাটা দেখলে আধুনিক দুনিয়ার যে কেউ ধরে নেবে বাংলাদেশও আফগানিস্তান, ইরাক বা আফ্রিকার মত বিধ্বস্ত, সন্ত্রাসপূর্ণ একটা দেশ। এতটা বাজে অবস্থা আসলে না। আমাদের দেশের পথ শিশুরা সর্বোচ্চ রাস্তায় নেশা করে পরে থাকে। কিন্তু এতটা ভয়াবহ বেয়াদপ বা সন্ত্রাসী কাজে জড়িত না।
আমার এক আমেরিকান অভিনেত্রী বান্ধবী তো বলেই বসলো, ‘‘বোরহান তোমাদের বাংলাদেশের পিচ্চিরা এত ভয়ংকর!! আগে বলনাই তো। ‘এক্সট্রাকশন’ দেখলাম।” তখন আরো উপলব্ধি করলাম ক্রিস হেমসওয়ার্থ-এর যত ভক্ত আছে এবং যারা এই সিনেমা দেখবে সবাই একই ধারণা পাবে।
এরপর আসে বাংলাদেশ এলিট ফোর্স নামে কাল্পনিক একটা বাহিনী, যার প্রধান বাংলাদেশি ড্রাগ ডিলারের কথাতে ওঠে আর বসে। সেই প্রধান পুরো ঢাকা শহর লকডাউন করে দেয় ওয়ার্লেসে একটা কমান্ড করে জাস্ট। পুরো শহরে আর্মি, পুলিশ, র্যাবসহ প্রশাসনিক অনেক লোকজন নেমে যায় নায়ক এবং ছোট্ট একটা বাচ্চাকে খুন করার জন্য।
কিন্তু মজার ব্যাপার এতকিছু হচ্ছে দেশের সরকার কিছু জানে না, সংবাদ মাধ্যমগুলো জানে না কিছু, এমনই প্রকাশ পেল সিনেমার ভাবে। দেশে মাদক ব্যবসায়ীর কথায় হয়ে যাচ্ছে সব। আর সেই ড্রাগ ডিলারকে আগে পিছে সবসময় নিরাপত্তা দেয় এলিট ফোর্সের দুটো স্কর্ট গাড়ি!
Really!! বাংলাদেশে যারা সাধারণ মানুষ কিন্তু ভিআইপি তারা পর্যন্ত স্কর্ট গাড়ি পায় না অনেক সময়। আর যারা পায় তারা পুলিশের গাড়ি পায় স্কর্ট গাড়ি হিসেবে। এলিট ফোর্সের গাড়ি কখনই প্রোটোকলের জন্য দেয় না। স্ক্রিপ্ট রাইটার হয়ত গল্প লিখেছেন কিন্তু ডিরেক্টর কি গল্পটা নিয়ে একটু গবেষনা করবেন না? যে দেশে ঘটনা সেটার বাস্তবতা আগে জানবেন না?
সেনাবাহিনীর কথা যখন আসে আরো অবাক হয় যে এখানে সেনাবাহিনী কেনো নামালো। আর সেনাবাহিনী কেনো এলিট ফোর্সের লোকের কথায় নামলো। সেনাবাহিনী কি হুট করে নেমে পড়ে? সেনাবাহিনীর ড্রেস কি আন্দাজে ব্যবহার করা যায়? মানে ব্যাপারটা বুঝলাম না, কেনো পুলিশ মরছে কেনো সেনাবাহিনী মরছে, কেনো এলিট ফোর্স মরছে। এখানে তো জাতীয় কোনো ইস্যু দেখানো হয়নি, তাহলে কেনো দেশের সমস্ত প্রশাসন লড়ছে আমেরিকান এক ভাড়াটে লোকের বিরুদ্ধে।
আর তারা এভাবে দেশে কিভাবে এলো ভিসা পাসপোর্ট কিছু নেই। হুট করে আমেরিকান হেলিকপ্টার নিয়ে চলে এলো! বাংলাদেশ কি একেবারে চাল চুলোহীন নাকি, যে বিদেশী হেলিকপ্টার ঢুকলো আর বিমানবাহিনী কিছু বললো না। মানলাম এ্যাকশন মুভি, কিন্তু এরকম মাতাল লজিক বর্তমানে বাংলা ছবি বা ভারতের তামিল মুভিতেও দেয় না কখনো।
সিনেমায় যদি দেখাতো হাজার হাজার বাঙালি সন্ত্রাসী গুলি করে মেরে ফেলছে মেনে নেয়া যেত। গল্পের প্রয়োজনে এটা মানানসই। কিন্তু একটা বাচ্চাকে আর আমেরিকান লোককে খুনিকে মাদক সম্রাটের পক্ষ হয়ে মারতে নেমেছে গোটা বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ভাবতেই অবাক লাগে, এভাবে গল্পটা সাজালো কোন গোপন উদ্দেশ্য। ‘নেটফ্লিক্স’ কি ইন্ডিয়ার দর্শক টানার আর কোনো টোপ পেল না!
ডন হিসেবে অভিনেতা সিলেক্ট-এ ভুল ছিল। অডিশন নেয়া উচিত ছিল। যখন বাংলা বলছিলো মনে হচ্ছিলো একটা বিদেশি প্রতিবন্ধী জোর করে বাংলা বলার চেষ্টা করছিল। বাংলার মানুষের জন্য সিনেমাটা না বানালে অন্য কথা। সব মাফ! যদি আপনার দর্শক আমরাও হয় তবে আপনি আসলেই বুলশিট বানিয়েছেন। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে একজনকেও বাঙ্গালী মনে হয়নি। কাষ্টিং ডিরেক্টর ‘সারাহ ফিন’ যে কিনা এভেঞ্জারস, থর, স্পাইডার ম্যান, ব্লাক প্যান্থারসহ অসংখ্য নামকরা সিনেমার কাষ্টিং করেছেন।
তিনি কিভাবে এই ভুলটা করলেন বাছাই পর্বে। ভেবে নিয়েছিলেন ইন্ডিয়া থেকে নেওয়া সহকারি কাষ্টিং তেস জোসেফ মহিলাটা, প্রোডাকশন ম্যানেজার ও সহকারি পরিচালকেরা যেটা বলছে সেটাই ঠিক। কিন্তু ওনার বোঝা উচিত ছিল যে ভারতের তারা বাংলাদেশকে ভালো কিছু দিতে চায়নি, নেগেটিভ গোজামিল দিয়ে গেছে। চাইলে অবশ্যই তারা গবেষনা করত অথবা বাংলাদেশ থেকে কিছু অভিজ্ঞ লোক নিয়ে যেত।
কিন্তু তারা তা না করে চেষ্টা করেছে হলিউড টিমকে নিজেদের মত করে বোঝাতে এবং সব তাদের আয়ত্তের মধ্যে রাখতে। রাখা ভালো কথা কিন্তু তাও তো পারলো না ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে। এই ভারত থেকেই যদি দক্ষিণা সিনেমার কিছু লোকজনকে নিত ঠিকই তারা ফুটিয়ে তুলে দিতো শতভাগ বাংলাদেশের আবহ, শুধু কাষ্টিং না, আর্ট ডিজাইন, সেট ডিজাইনেও বলিউডের লোকেদের চেয়ে ভারতের অন্যান্য স্টেট সিনেমার লোকজন অনেকযোগ্য।
যা হোক সারাহ ফিন কাষ্টিং-এ না হয় ভুল করল কিন্তু সব দায় পরিচালকের ঘাড়ে বর্তায়। স্বাভাবিক! স্টান্ট ম্যান আর ডিরেক্টর তো একই জিনিস না। জ্বি হ্যা, ‘স্যাম হারগ্রেভ’ মূলত একজন স্টান্ট ম্যান। থর, এভেঞ্জারস সহ অসাধারন সব এ্যাকশান সিনেমায় তিনি স্টান্ট ম্যান ছিলেন। কিন্তু ভাই একটা কথা মনে রাখতে হবে স্টান্ট আর পরিচালনা এক নয়।
একজন পরিচালক একজন বিজ্ঞানী, একজন পরিচালক একজন দার্শনিক, একজন পরিচালক একজন অনুভূতির শ্রষ্টা। জেমস ক্যামেরন, ক্রিস্টোফার নোলান, স্টিফেন স্পিলবার্গদের মত পরিচালকদের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন। যাই হোক আপনার কথা একটু পরে বলছি।
এখানে আমাদের বাংলাদেশের কিছু লোকের ও গাফিলতি থাকা অস্বাভাবিক নয়।
বাংলাদেশ থেকে প্রোডাকশন মানেজার হিসেবে ছিলেন লাইলি আলমেইডা ও তারিক আনাম খান (বাংলাদেশি অভিনেতা)। তারেক ভাইয়ের আগে এভেঞ্জারস এজ অব আল্ট্রন-এর কিছু শুটিং যখন চট্টগ্রামে হয় তখন ওই ছবির বাংলাদেশ অংশের সুপারভাইজর ছিলেন।
উনারও তো একটু খেয়াল রাখা উচিত ছিল এই বিষয়গুলো শুটিংয়ের সময়। নাকি টাকা পাইছেন কাজ করছেন দ্বায়িত্ব শেষ? লাইলি আলমেইডা লোকটার তো জন্মই শ্রীলঙ্কায় কিন্তু সে বাংলাদেশের অংশের প্রোডাকশন ম্যানেজার হয়ে গেল, তাই হয়ত এসব ভুলগুলো শুধরে দেওয়ার কেউ ছিল না।
তবে তারেক ভাই আপনি দায় এড়াতে পারেন না। এসব আপনার সামনেই হয়েছে, দেশের ভাবমূর্তি একটু মাথায় রাখতেন। এই সিনেমা দেখে তো বিদেশিরা আমাদের সোমালিয়া বা আফগান সদৃশ্য দেশ ভাবা শুরু করবে। আপনি দেখলেন যে ভাষা, প্রশাশন, লোকেশন, গল্প সবই বিপরীত মুখি তারপরেও কেনো পরিচালক বা সংশ্লিষ্ট লোকদের একটু বুঝিয়ে বললেন না। নাকি দু-হাত কচলাতে কচলাতে সময় চলে গেছে।
কষ্টিউম এর দায়িত্বে ছিল কৃতি মালহোত্রা (ভারত), দুজন সহকারি পরিচালক অনন্যা রানি, ধাভাল সাদরানি দুজনই ভারতের। একজন আর্ট ডিরেক্টর রভি শ্রিভাস্তব সেও ভারতের। তো আমার কথা হচ্ছে, তবে গল্পটা ভারতে শেষ করতেন। বাংলাদেশের আবহ ফুটিয়ে তুলবেন কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যোগ্য সহযোগী নিলেন না। তাহলে চাইলেও তো আপনি পারবেন না গল্প ফুটাতে। নিলেন বিশ্বাস করে তারিক আনাম খানকে, তিনি শুধু টাকা আর ক্যারিয়ারটা মনে হয় বড় করে দেখলেন।
এবার আসছি পরিচালকের কথায়, আপনি থর, এভেঞ্জারস ও মার্ভেল এরকম বেশকিছু সিনেমার স্ট্যান্ট ছিলেন বা মারামারি দৃশ্যের কোরিও গ্রাফার গ্রুপের একজন ছিলেন। সেই সুবাদে ক্রিস হেমসওয়ার্থ এর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাকে মানিয়ে ফেললেন নিজের প্রথম ছবিতে অভিনয়ের জন্য। এরপর এভেঞ্জার্স এর ডিরেক্টর রুসো স্যার এর কাছে গেলেন স্ক্রিপ্ট লেখাতে।
এরপর তার লেখা স্ক্রিপ্ট নিয়ে নেমে পড়লেন। মজার বিষয় মার্ভেল সিনেমার এ পর্যন্ত যত অভিনেত, অভিনেত্রী ও সিনেমা সংশ্লিষ্ট লোকজন ছিলেন সকলের মুখে মুখে তখন ভারত এবং বিশেষ করে বাংলাদেশ এর নাম সিনেমার টার্গেট লোকেশনের কারণে। কিন্তু ডিরেক্টর সাহেব বাংলাদেশকে খুব বাজে ভাবে উপস্থাপন করলেন।
আপনার উচিত ছিল একজন প্রকৃত পরিচালকের মত গবেষণা করা। এ দেশে এসে বোঝার চেষ্টা করা। আপনি প্রয়োজনে এ দেশের প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতেন। কিছু বাংলাদেশের অভিজ্ঞ লোক নিতেন আপনাকে তথ্য দেওয়ার জন্য।
তারিক আনামকে নিয়েছিলেন কিন্তু ওই লোক প্রশাসনের কাছে আপনাকে নিয়ে যাওয়া তো দুরে থাক, সে সেটা ভাবেননি হয়ত। কারণ উনি ছিলেন উনার কমিউনিকেশন বাড়ানোর চিন্তায়। তিতা হলেও সত্য পরিচালক স্যাম হারগ্রেভ আপনি আমাদের প্রিয় 'থর' কে অপব্যবহার করেছেন নিজের প্রথম সিনেমায়। আপনার স্টান্ট এবং এ্যাকশন দৃশ্য অসাধারণ ছিল। আপনি সত্যি একজন দুর্দান্ত এ্যাকশান কোরিওগ্রাফার, কিন্তু আপনি একজন পরিচালক হয়ে উঠতে পারেননি।
আপনি আপনার গল্পে জীবনবোধ তুলে আনতে সক্ষম হননি। বাংলাদেশের নামটা ব্যবসার কথা চিন্তা করে শুধুমাত্র যুক্ত করা হয়েছে। দেশে মুভিটির চিত্রায়ন হয়নি, কোনো অভিনেতা অভিনেত্রীও বাঙ্গালী নন, আবহ সঙ্গীত হিসেবে যে গান বাজানো হচ্ছে সেগুলোও হিন্দি ভাষার।
ক্রিস হেমসওয়ার্থ-এর জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করে সস্তায় সিনেমা হিট করার চেষ্টা করে গেলেন। প্রিয় নায়ককে এভাবে কখনো বাজে উপস্থাপনে দেখবো ভাবতে পারিনি। আপনি বাংলাদেশের থর ভক্তদের কথা ভাবলেন না। সে দেশের দর্শকদের আবেগটা বুঝলেন না। ঢাকা যে আধুনিক একটা নগর সেটা দেখেও না দেখার ভান করলেন!
তবে আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট লোকদের এর তীব্র প্রতিবাদ জানানোর আহবান জানাবো। এ নিয়ে যদি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার দরকার হয়, আন্তর্জাতিক আদালতে সেটাও করতে প্রস্তুত। বাংলাদেশ থেকে যারা এতে জড়িত ছিল তাদেরও প্রশ্নবিদ্ধ করা উচিত। সিনেমা একটি আয়না, সে আয়নায় যা দেখাবেন বিশ্ববাসী তাই দেখবে। তাই আমরা কখনোই মেনে নেব না অযৌক্তিক ভাবে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা।
লেখক: তরুণ প্রযোজক ও নির্মাতা, ঢাকা।

মন্তব্য করুন