সংস্কৃতি এত ঠুনকো নয় যে ১৮+ সিন রাখলে ধ্বংস হয়ে যাবে: শ্যামল মাওলা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৩ জুন ২০২০, ১২:৪৪
অ- অ+

টেলিভিশন পর্দায় দেশীয় নাটক দেখা দর্শকের সংখ্যা অনেক আগেই কমে গেছে। বেশির ভাগ দর্শক ইউটিউব নির্ভর হয়ে পড়েছেন। তবে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফরমে আজকাল নাটকের পাশাপাশি ওয়েব সিরিজ প্রকাশের প্রচলন শুরু হয়েছে। অবশ্য আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার নামে ওয়েব সিরিজে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও কম নয়।

অতি সাম্প্রতিক এ ধরনের ওয়েব সিরিজে গা ভাসিয়েছেন প্রথম সারির কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রী। যাদের টিভি পর্দায় বরাবরই মার্জিতভাবেই দেখে আসছেন দর্শক। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই শোবিজে সমালোচনার ঝড় বইছে।তাদেরই একজন ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ শ্যামল মওলা। ঢাকা টাইমসের সাথে আলাপকালে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।

শ্যামল মওলা বলেন, 'একই রকম কন্টেন্ট দেখলে বলব- নতুন কিছু দেন।নতুন কিছু দেয়ার চেষ্টা থাকলে বলব- দেশের সংস্কৃতি নষ্ট করে দিলেন।এরকম করলে, এত বাঁধাধরা নিয়ম থাকলে তো শিল্প হয় না। আর সংস্কৃতি কি এতই ঠুনকো জিনিস নাকি যে ওয়েব সিরিজের কিছু ১৮+ সিন রাখলে সেটা ধ্বংস হয়ে যাবে?'

সমালোচনার তিব্রতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে দিতে অভিনেতা বলেন 'একজন শিল্পীর কাজ চিত্রায়ণ করা,সেন্সর করা না। আমার ভূমিকা হচ্ছে অভিনয় করা।আমি একজন প্রফেশনাল আর্টিস্ট হিসেবে নিজ চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে সাবলীল অভিনয়টা করে গেছি। একটি দৃশ্য ফুটিয়ে তোলার তোলার জন্য অনেক কিছু করতে হয়। এটা নেগেটিভলি দেখলে নেগেটিভ।'

তিনি আরও বলেন 'ওয়েব, টিভি, ইউটিউব- সব আলাদা প্ল্যাটফর্ম। পরিবার নিয়ে ওয়েবের কন্টেন্ট দেখতে চাইলে আমার মনে হয় আপনার একটু জেনেশুনে বসা উচিত। টিভিকে ড্রইংরুম মিডিয়া বলা হলে, ওয়েবকে সেপারেট মিডিয়া বলা যেতে পারে।'

সাম্প্রতিক এসব বিষয়বস্তু নিয়ে ফেসবুকে নাট্যকার ও নির্মাতা মাসুদ সেজান লেখেন 'আপনি আগেই শুনিয়াছেন, ওই ওই কাজে সেক্স দৃশ্য দেখানো হইয়াছে, যাহা উচিত হয় নাই।শুনিয়া, তাহা আপনি দেখিতে বসিলেন। দেখা শেষ করিবার পর আপনি বলিলেন, ওইভাবে দেখানোটা একদম ঠিক হয় নাই।ইহা শুনিয়া আবার আরেক জন দেখিতে বসিলেন, পুরোটা দেখিয়া নিয়া, তিনি আবার বলিতেছেন- সংস্কৃতির সহিত যাচ্ছেই না, বড়ই বেমানান...

ইহার ফলাফল কী? যাহারা এই বস্তু বানিয়েছেন, তাহারা বাণিজ্যিক ভাবে লাভবান, আর আপনারা তাহা অবলোকন করিয়া গোপন বাসনা চরিতার্থে তৃপ্ত।হুদাই ক্রিয়েটিভদের নমশূদ্র বানাইয়া নিজেদের ব্রাহ্মণ প্রমাণ করিবার কোনও কারণ নাই। আপনাদের এইসব দেখিবার লালসা সম্পর্কে তাহারা জ্ঞাত বলিয়াই বানিয়েছে, অতএব চুপচাপ চোরের মতো দেখিয়া যান। হুংকারের প্রয়োজন নাই।

ঢাকাটাইমস/১৩জুন/এলএম/এসকেএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
অন্যের বাগানের আম চুরি করল ইউনাইটেড গ্রুপের মালিকরা, থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ১
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক শনিবার
বিএনপি শুধু নির্বাচন নিয়ে কথা বললে বাংলাদেশ আশাহত হয়: সারজিস আলম
দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান আজ অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে: আমিনুল হক
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা