রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক ধারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ মার্চ ২০২৩, ২৩:২২
  • *আট মাসে রপ্তানি আয় ৩৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার
  • *তৈরি পোশাকে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অব্যাহত, আয় এসেছে মোট রপ্তানির ৮৪ শতাংরশর বেশি

করোনাভাইরাসের অভিঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে রয়েছে আর্থিক চাপ। দেশে দেশে সংকুচিত হচ্ছে অর্থনীতি। এর মধ্যেই বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি আট মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ৩৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। আগের বছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি আট মাসে রপ্তানি আয় এসেছিল ৩৩ দশমিক ৮৪৩ বিলিয়ন ডলার। বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

ইপিবি বলছে, রপ্তানি আয়ের সার্বিক চিত্র বলছে তৈরি পোশাক রপ্তানির উচ্চ প্রবৃদ্ধি অব্যাহত। মোট রপ্তানির ৮৪ শতাংশের বেশি আয় এসেছে এক পণ্য থেকে। আর আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত চিংড়ি, কৃষিজাত পণ্য ও বিশেষায়িত টেক্সটাইল পণ্যে মূল্য।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, আট মাসে তৈরি পোশাকের থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ৩১ দশমিক ৩৬১ বিলিয়ন ডলার। যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। তৈরি পোশাক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে। এবং একই সঙ্গে গত বছরের একই সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ২৭ দশমিক ৪৯৭ বিলিয়ন ডলার।

রপ্তানি আয়ের চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রায় কিছুটা চাপ সৃষ্টি হলেও তৈরি পোশাক রপ্তানির কৌশলগত আয় বেশি হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি আট মাসে ৩০ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার বেশি রপ্তানি হয়েছে। সকল পণ্যের কৌশলগত রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা দশমিক ৪৫ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।

রপ্তানি আয় বহুমুখী করার চেষ্টার মধ্যেই এ উদ্যোগ সংকুচিত হয়েছে এবার। যা অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি আট মাসে রপ্তানি আয়ের চিত্রে ফুটে উঠেছে। এ সময়ের রপ্তানি আয়ের চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, অন্যান্য রপ্তানি পণ্যে কোনোই সুখবর নেই। বরং আশা ভেঙেছে। আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে এ সব পণ্যের রপ্তানি।

এক সময়ের সোনালী আঁশ পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয় কমেছে ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ; হিমায়িত মৎস্য কমেছে ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ; কৃষি পণ্য রপ্তানি কমেছে ২৬ শতাংশ; রাবার জাত পণ্য রপ্তানি কমেছে ৩৪ শতাংশ এবং বিশেষায়িত টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি কমেছে ২৩ শতাংশ। পরিমাণে কম হলে হস্তজাত শিল্পে পতনের ধাক্কা লেগেছে। তবে জাহাজ নির্মাণ ও প্লাস্টিকে পতন ঠেকিয়ে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০২মার্চ/আরআর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

ওয়ালটন নিয়ে অ্যাকশনধর্মী ধামাকা দেখালেন আমিন খান

সোনালী ব্যাংকে তথ্য অধিকার আইনবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

বসুন্ধরা সিমেন্টের বার্ষিক বিক্রয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

বিএসটিআইকে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে: শিল্পমন্ত্রী

মিনিস্টারের ‘হাম্বা অফারে’ স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষলেই গরুসহ পেতে পারেন ফ্রিজও

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের আরও ১০টি নতুন উপশাখার উদ্বোধন 

আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে এনআরবিসি ব্যাংকের অনুদান প্রদান

সিটি ব্যাংকের নতুন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন কাজী আজিজুর রহমান

প্রিমিয়ার ব্যাংক ব্রাঞ্চ কিউআর টেলার সার্ভিসের উদ্বোধন

‘দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি’

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :