অনলাইনে ট্রেনের টিকিট: তৃতীয় দিনেও ভোগান্তির শেষ নেই
রমজানের ১৭তম দিন আজ। ঈদের বাকি রয়েছে ১৩ দিন। নাড়ির টানে বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে অগ্রিম ট্রেনের টিকিট কাটতে অনলাইনে ঢুকছেন নগরবাসী। তবে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে গিয়ে সার্ভার জটিলতার জন্য বিড়ম্বনায় পড়ছেন ট্রেনযাত্রীরা।
রবিবার বিক্রি হচ্ছে ১৯ এপ্রিল যাত্রার টিকিট। এদিন সকাল আটটায় অনলাইনে টিকিট কাটা শুরুর পরপরই সার্ভারের গতি কমে যায়। পরিস্থিতি বুঝতে সার্ভারে ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন খোদ রেল কর্মকর্তারাই।
এর আগে শনিবারও সার্ভার জটিলতার কারণে ‘রেলসেবা’ অ্যাপসে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়েছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। আবার প্রবেশ করতে পারলেও টিকিট বুকিং অপশনে ক্লিক করার পরে দীর্ঘক্ষণ আটকে থেকেছেন। পরের ধাপে সিলেক্ট হলেও টিকিট পারচেজ (কেনা) সম্ভব হয়নি। এর মধ্যেই কাঙ্ক্ষিত টিকিট শেষ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) সরদার শাহাদাত আলী বলেন, ‘বাড়ি গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে চায় ঢাকার বাসিন্দারা। কিন্তু ট্রেনের টিকিট বরাদ্দের চেয়ে যাত্রী কয়েকগুণ বেশি হওয়ায় না পাওয়াই সাভাবিক।’
কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘সত্য কথা বলতে সার্ভার জটিলতা ছাড়াই অনলাইনে ঈদের অগ্রিম টিকিট কিনতে পারছেন টিকিট প্রত্যাশীরা।’
তিনি বলেন, ‘অনলাইনে এক সঙ্গে সবাই ঢুকে টিকিট বুকিং করতে গিয়ে সার্ভার চাপের মধ্যে পড়ে যায়। ফলে একটু ভোগান্তি হয়ে যায়। গত শনিবার সার্ভারে প্রতি মিনিটে ৮ হাজার হিট করার সক্ষমতা থাকলেও হিট পড়েছে লাখের ওপর। আর এ কারণেই জটিলতা তৈরি হয়েছে।’
রেলওয়ে সূত্র জানায়, এবারের ঈদে ট্রেনে প্রতিদিন বিক্রি করা হবে ২৫ হাজার ৭৭৮টি টিকিট।
সোমবার বিক্রি করা হবে ২০ এপ্রিলের টিকিট ও মঙ্গলবার বিক্রি করা হবে ২১ এপ্রিলের টিকিট।
(ঢাকাটাইমস/৯এপ্রিল/পিআর/এফএ)