বিএনপি মাঠে দিক খুঁজে পাবে না, হুঁশিয়ারি আ.লীগের

দেশের মধ্যে ষড়যন্ত্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইলে বিএনপিকে আর ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা বলেন, মাঠ দখল করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে এমন পেঁদানি দেওয়া হবে দিক খুঁজে পাবে বিএনপি। নেতাকর্মীদের সবাইকে লাঠি হাতে নিয়ে রাজপথে আসারও আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।

বুধবার বিকালে জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি উন্নয়ন সমাবেশে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ নেতারা। বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের শিশুপুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, বিএনপি ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছে। তারা যদি কোনো নাশকতা করতে চায় দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে। বিএনপিকে প্রতিহত করতে দলের নেতাকর্মীদের সবাইকে লাঠি হাতে নিয়ে রাজপথে আসারও আহ্বান জানান নেতারা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলেন, বিএনপির নেতা নাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বিদেশিরা না-কি বিএনপিকে সাহস দিচ্ছে। বিএনপি দেশের জনগণের উপর বিশ্বাস নেই। তাই বিদেশিদের ওপর, পিটার হাসের ওপরে তাদের ভরসা। বিএনপি যেন রাজপথ দখল করতে না পারে এজন্য নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপি ২৮ তারিখের পরে যদি মাঠ নামে নাশকতা করে এমন পেঁদানি দিমু দিক খুঁজে পাবে না। বিএনপিকে প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশনা দেন তিনি।

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের বাইরে এক চুল যাওয়ার সুযোগ নেই। নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা করতে বিএনপি অস্ত্র সংগ্রহ করছে। তারা অস্ত্র দিয়ে দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। তাই নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, বিএনপি হলো কুকুরের লেজের মতো। তারা কখনো সোজা হবে না। তারা ভালো কিছু চোখে দেখে না। বিএনপিকে আর ছাড় দেওয়া যাবে না। বাংলার মাটি থেকে তাদের উচ্ছেদ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে৷ দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপির দলের নেতারা খুনি। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ তাদের দলের নেতৃত্ব দেওয়া সবাই খুনি। তারা খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।

দেশের মধ্যে ষড়যন্ত্র করার জন্য আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। দেশের শান্তি উন্নয়ন অগ্রগতি তাদের ভালো লাগে না। বিএনপি যদি দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় তাহলে দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে ।

আব্দুর রহমান বলেন, বিএনপি ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছে। তাদের প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ দশ লাখ লোক জড়ো করবে। সেখানে সবাই বিএনপিকে প্রতিহত করতে লাঠি হাতে আসতে হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শান্তি উন্নয়ন সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। এছাড়াও বক্তব্য দেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়রসহ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

(ঢাকাটাইমস/১৮অক্টোবর/জেএ/কেএম)