‘কনডেম সেলে অসুস্থ ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি ইয়ামিন মোল্লা’
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ জানিয়েছেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে কারাগারে রাখা হয়েছে কনডেম সেলে, সেখানে মূলত ফাঁসির আসামিদের রাখা হয়। আটকের পর কয়েকটি মামলায় তাকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তাকে তেমন চিকিৎসা দেওয়া হয়নি, ফলে তিনি অসুস্থ।
আবু হানিফ অভিযোগ করেন, সোমবার বিকালে একটি মামলায় আদালতে তোলার সময় বিন ইয়ামিন বলেন, ‘আমি যে অবস্থায় আছি, আমি হয়তো মারা যেতে পারি।’ এ সময় পুলিশ তার মুখ চেপে ধরে, যেন কথা বলতে না পারে।
হানিফ বলেন, সরকার মিথ্যা মামলায় বার বার বিন ইয়ামিনকে শোন অ্যারেস্ট দেখাচ্ছে। তাকে কারাগারে যে যেভাবে রেখেছে এটা স্পষ্টত চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। এই সরকার আদালত কে ব্যবহার করে ভিন্নমত দমন করছে।
বিন ইয়ামীন মোল্লার আইনজীবী ও গণঅধিকার পরিষদ-জিওপি'র উচ্চতর পরিষদের সদস্য অ্যাড. নুরে এরশাদ সিদ্দিকী জানান, বিগত ৩ আগস্ট হাতিরঝিল থানায় দায়েরকৃত মামলায় আজকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লাকে শোন এরেস্টের আবেদন শুনানীর জন্য সকাল ১১ টায় সিএমএম কোর্টে আনা হয়। অতঃপর আদালত পুলিশের শোন এরেস্টের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং একই দিনে ৫ দিনের রিমান্ড শুনানীর জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে শুনানীর জন্য রাখেন।
বিন ইয়ামীন মোল্লার আইনজীবী ও গণঅধিকার পরিষদ-জিওপি'র উচ্চতর পরিষদের সদস্য অ্যাড. নুরে এরশাদ সিদ্দিকী জানান, আজ সোমবার বিকাল ৪টায় বিন ইয়ামীন মোল্লার রিমান্ড শুনানি হয়। শুনানিতে আসামি পক্ষে বিশদ যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানিকালে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ-জিওপির সহ-আইন সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সোহেল রানা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বিন ইয়ামীন মোল্লার বিরুদ্ধে মোট ০৭ টি মামলা দায়ের করা হয়; ইতোমধ্যে ০৩ টি মামলায় জামিনে আছেন ছাত্রনেতা বিন ইয়ামীন মোল্লা।
(ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/জেবি/কেএম)