কেন্দুয়ায় এক বছরে অর্ধশতাধিক অস্বাভাবিক মৃত্যু, আত্মহত্যার চেষ্টা শতাধিক
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলা একটি অন্যতম বড় উপজেলা। বৃহত্তর উপজেলা হওয়ার ফলে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে বেশি এখানে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত (গত ১ বছর) ৫০টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে রয়েছে আত্মহত্যা ও পানিতে ডুবে মৃত্যু। তাছাড়া অস্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্যে রয়েছে খুন, সড়ক দুর্ঘটনা, বিষপানে আত্মহত্যা ও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু।
জানা গেছে, ২০২৩ সালে উপজেলায় হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন, গলায় ফাঁস লাগিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন, বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন ২ জন, বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন, পানিতে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন, অজ্ঞাত কারণে মারা গেছেন ১ জন, সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হলেও থানায় রেকর্ডভুক্ত হয়নি।
ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যুর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থী থেকে অল্প বয়সী নারী ও পুরুষ। আর পানিতে ডুবে মৃত্যুর মধ্যে রয়েছে শিশুরা।
এদিকে কেন্দুয়া উপজেলা থেকে বিষপান ও ফাঁসিতে ঝুলে শতাধিক নারী-পুরুষ চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ অল্পবয়সী গৃহবধূর সংখ্যা বেশি।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, শিশু ও নারীরা বেশি আবেগপ্রবণ হওয়ার ফলে আত্মহত্যার ঘটনা তারাই বেশি ঘটাচ্ছে। আত্মহত্যা একটি অপরাধ আর এসব অপরাধ দমনে আমরা বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে উঠান বৈঠক ও কাউন্সেলিং করে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। যার কারণে এ সংক্রান্ত অপরাধ কমে এসেছে। আশা করি অভিভাবকরা সচেতন হলে আত্মহত্যা ও পানিতে ডুবে মৃত্যুরোধ করা সম্ভব হবে।
(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/ ইএইচ)