অনুর্বর জমিতে ৪০ প্রজাতির সবজি চাষ করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দৃষ্টান্ত
দিনাজপুরে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের চারপাশ একসময় ছিলো জঙ্গল ঘেরা। দিনের পর দিন পড়ে থাকা পরিত্যক্ত এ জমিতে সবজি চাষ শুরু করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুন। তিনি এ জমিতে চাষ করেছেন ৪০ প্রজাতির সবজি।
এরমধ্যে রয়েছে ফুলকপি, পাতাকপি, লেটুস পাতা, পেয়াজ, ধনেপাতা, মুলা, শালগম, মরিচ, পেঁপে, মুলা, গাজর, পালংশক, বেগুন, পটল, শিম, মটরশুটিসহ বিভিন্ন রকমের শাকসবজি। এছাড়াও রয়েছে রঙিন কপি, চায়না ক্যাভেজ, স্ট্রবেরির মতো বিদেশি সবজিও।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন শেখ জিন্নাহ আল মামুনের এ সবজি চাষ বেকার ও তরুণদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়াবে।
শেখ জিন্নাহ আল মামুন বলেন, আমি যেসময় এখানে যোগদান করি সেসময় এখানে জমিগুলো জঙ্গলে ভরা ছিল। প্রায় ৬০ শতক অনুর্বর জমি এখানে। ইউটিউব থেকে চাষাবাদ পদ্ধতি দেখি। বাইরে থেকে জৈব সার নিয়ে আসি। এ কাজে কৃষিবিদদের সহযোগিতাও পেয়েছি। আমার পরিবার, অফিসের স্টাফ, ড্রাইভার, সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সফলভাবে সবজি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। এ কাজে বেসরকারি সংস্থা ইএসডিও সহযোগিতা করেছে। শীতকালীন সবজির পর হারভেস্টিংয়ের পর গ্রীষ্মকালীন সবজি এবং রোজাকে সামনে রেখে ভুট্টা, তরমুজও আবাদ করা হয়েছে।
সেক্স ফেরোমনের (কীটপতঙ্গ দমনে এক ধরনের ফাঁদ) মাধ্যমে পোকা দমন ও জৈব সার দিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে আবাদ করা হয়েছে এসব শাক-সবজি। এই চাষাবাদের মাধ্যমে ক্ষতিকর উপাদান ছাড়াই পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারছেন পুলিশ সদস্যরা।
কোনো রাসায়নিক ও ক্ষতিকর উপাদান ছাড়াই এই উৎপাদিত ফল ও সবজি এক দিকে যেমন পুষ্টির চাহিদা মেটাবে অন্যদিকে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন শেখ জিন্নাহ আল মামুন। এই শাকসবজি পুলিশ সদস্যের কিছুটা চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)