বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার: রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৭
অ- অ+

সরকার বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

তিনি বলেন, সরকার বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করেছে এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এটি মানুষের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং স্বল্প সময়ে বিচার প্রার্থীদের ন্যায়বিচার প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে।

শুক্রবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে দুইদিনব্যাপী ‘একবিংশ শতাব্দীতে দক্ষিণ এশিয়ার সাংবিধানিক আদালত: বাংলাদেশ ও ভারত থেকে শিক্ষা’ শীর্ষক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

বিচারপতিদের দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, আদালতের হস্তক্ষেপগুলি যেন সাংবিধানিক নীতি, ক্ষমতা ভারসাম্য ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পরিচালিত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষমতার সঙ্গে দায়িত্ব ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দায়িত্ব পালনের জন্য ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। আবার ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে এবং ক্ষমতার যেন অপব্যবহার না হয় সেদিকে কঠোরভাবে নজর রাখতে হবে।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রীসহ অন্যান্য অতিথিরাবাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রেখে একটি সুখী এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সম্মিলিত প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বিচার বিভাগকে সামিল হতে হবে।

বিচারকদের উদ্দেশ্যে মো. সাহাবুদ্দিন আরও বলেন, দেশ, জনগণ ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিচার প্রার্থীরা অত্যন্ত কম খরচে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ন্যায় বিচার পাবেন এবং বিচারকগণ তাদের মেধা এবং মননশীলতার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির ক্রান্তিকালে যখনই প্রয়োজন হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট তার ওপরে অর্পিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সংবিধানকে রক্ষা করেছে। শান্তি ও সঙ্কটে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের অভিভাবক ও রক্ষক হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ষড়যন্ত্রকারীদের সেই নীল নকশা বাস্তবায়িত হতে দেয়নি। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় তাদের নিজ নিজ যাত্রায় অনন্য পথ অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ—ভারত উভয় দেশই এমন দৃষ্টান্ত প্রত্যক্ষ করেছে যেখানে বিচার বিভাগ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায়, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন ও সুশাসনের নীতিগুলোকে সমুন্নত রাখতে হস্তক্ষেপ করেছে।

(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/এসআইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কাশ্মীরে হামলা: পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি বাতিল করল ভারত
আনিসুল হকের বান্ধবী তৌফিকা করিমের ৩৮টি ব্যাংক হিসাব জব্দ
আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি কমবে, বাড়বে জিডিপি প্রবৃদ্ধি: আইএমএফ
পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে দোহা থেকে সরাসরি রোমে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা