আমি তো এসিতে ঘুমাবো, নিঃস্ব হারুণের কী হবে: এ কে আজাদ
অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়েছেন ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের গেরদা গ্রামের দরিদ্র রিকশাচালক শেখ হারুন (৫২)। কিছুটা দগ্ধও হয়েছিলেন তিনি। গত ২০ মার্চ (বুধবার) রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়েছিল হারুনের বসত ঘর, রান্না ঘর ও উপার্জনের একমাত্র বাহন রিকশাটি। এ খবর পেয়ে ঘটনার পরদিনই ২১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) হারুনের বাড়িতে ছুটে যান ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে আজাদ।
সেখানে গিয়ে হারুনকে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২৫ হাজার টাকা এবং সরকারি সহায়তা হিসেবে দুই বান টিন ও ৬ হাজার টাকার ব্যবস্থা করে দেন সংসদ সদস্য এ কে আজাদ। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট হতে পারেন নি তিনি।
ওইদিন রাতে ঘুমাতে গিয়ে যে বিষয়টি এ কে আজাদকে পীড়া দিয়েছিল তা বর্ণনা করতে গিয়ে আবেগঘন হয়ে পড়েছিলেন স্বতন্ত্র নির্বাচিত সংসদ সদস্য এ কে আজাদ।
সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের বাখুন্ডা কলেজ মাঠে ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সেই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘রাতে ঘুমাতে গিয়ে বার বার আমার সামনে ভেসে উঠেছে হারুনের বাড়ির সেই দৃশ্য। চোখের সামনে ভেসে উঠেছিল হতাশাগ্রস্ত হারুনের মুখ। আমি শেখ হারুনকে সহায়তা করে এসেও আনন্দ পাচ্ছিলাম না। মনে মনে ভাবছি, হারুনকে সহায়তা দিয়ে চলে আসলাম, রাতে তো এসিতে ঘুমাবো, কিন্তু হারুন তো খোলা আকাশের নিচে ঘুমাবে। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম হারুনকে ঠিক আগের মতো ঘর করে দিব। তার ঘর করতে সকল খরচ বহন করবো। তার আগের মতো করে নতুন ঘর করে দিতে আরও দুই লক্ষ টাকা প্রয়োজন ছিল। তা আমি আজ তার হাতে তুলে দিলাম।’
এদিকে নতুন ঘর করতে পূর্ণ সহায়তা পেয়ে এ.কে. আজাদের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া ও মোনাজাত করেছেন শেখ হারুন ।
গেরদা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ আলী বিদু বলেন, অসহায় রিকশাচালক শেখ হারুন। তার জীবিকার রিকশাটিও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তার দুর্ঘটনার কথা শুনে এ.কে. আজাদ তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। হারুনের জন্য নতুন ঘর তুলে দিয়েছেন।
গেরদা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ আলী বিদুর সভাপতিত্বে এবং গেরদা যুবলীগের সভাপতি রিয়াদ মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়।
(ঢাকাটাইমস/০১এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস)