আমাদের মনের ল্যাবরেটরি পরিষ্কার করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৮ মে ২০২৪, ১৪:০৩ | প্রকাশিত : ০৮ মে ২০২৪, ১৩:৩৮

ভোক্তা, সরবরাহকারী এবং যারা উৎপাদনকারী তাদের মনের ল্যাবরেটরি পরিষ্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বুধবার রাজধানীর শাহবাগে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার উদ্বোধন ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশব্যাপী খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা কাজ করে চলেছি। মানুষের মধ্যে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দিতে দেশের ৭ বিভাগের সাতটি ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরি চালু করা হয়েছে। তবে শুধু ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরির মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা কঠিন। তাই ভোক্তা, সরবরাহকারী এবং যারা উৎপাদনকারী তাদের মনের ল্যাবরেটরি পরিষ্কার করতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা যতই মোবাইল ল্যাবরেটরি দিই না কেন, যারা ভোক্তা, যারা সরবরাহকারী, যারা উৎপাদনকারী তাদের মনের ল্যাবরেটরি পরিষ্কার করতে হবে। তা না হলে, যতই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করি না কেন, আমার মনে হয় কোনো কাজ হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “দেশে এক সময় মঙ্গা ছিল, তখন মানুষ খাবার পেতো না। চালের দাম বেড়ে গেলে মানুষ হইচই করে, আবার কমে গেলে কৃষকেরা হইচই করে। দেশে এখন আর খাদ্যের অভাব নাই। এটা সরকারের একটি বিরাট অর্জন।”

মন্ত্রী বলেন, “আসুন সবাই মিলে সচেতনতা বৃদ্ধি করি, নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করি, অনিরাপদ খাদ্য বর্জন করি এবং যারা খাদ্য অনিরাপদ করবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।”

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য আবু নূর মো. শামসুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেন।

সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, “খাদ্যের মান বোঝার সবচেয়ে বড় উপায় হলো খাদ্য পরীক্ষা। পরীক্ষা করতে না পারলে নিরাপদ বা অনিরাপদ কি না বুঝতে পারব না। জাতীয় পর্যায়ে দেশে ল্যাব সক্ষমতা খুবই সীমাবদ্ধ। ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে জেলা বা বিভাগে পরীক্ষা করা ছিল অকল্পনীয়। তাই আজকের দিনটি বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ দিন।”

এসময় তিনি ভ্রাম্যমাণ ল্যাব সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসন, কৃষি বিভাগসহ অন্যদের সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া। তিনি দিনটিকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের জন্য একটি স্মরণীয় পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় বিভাগীয় পর্যায়ে খাদ্যের নমুনা পরীক্ষা সহজতর করার জন্য চীন থেকে সাতটি মোবাইল ল্যাব ক্রয় করা হয়।

যেসব পণ্য পরীক্ষা করা যাবে মোবাইল ল্যাবে

মোবাইল ল্যাবরেটরির সাহায্যে যেসব পরীক্ষা করা যাবে তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো দুধে ডিটারজেন্ট, স্টার্চ, ইউরিয়ার উপস্থিতি; ঘি-তে বনস্পতি/হাইড্রোজিনেটেড এডিবল ফ্যাট; হলুদ গুঁড়ায় লেড ক্রোমেট; মরিচের গুঁড়ায় ইটের গুঁড়া; গোলমরিচে পেঁপে বীজ; নারিকেল তেলে ভেজাল; শাকজি, ফলমূলে রং দেওয়া; শাক-সবজি, ফলমূলে বালাইনাশকের মাত্রা নির্ণয়, মধুতে চিনির মিশ্রণ, পাউরুটিতে ক্ষতিকর পটাশিয়াম ব্রোমেটের উপস্থিতি, খাদ্যে অননুমোদিত কৃত্রিম রঙের উপস্থিতি।

খাদ্যে ক্ষতিকর ভারী ধাতুর উপস্থিতিসহ আরও অনেক পরীক্ষা স্বল্প সময়ে করা যাবে এই মোবাইল ল্যাবরেটরির মাধ্যমে।

(ঢাকাটাইমস/০৮মে/এমআই/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :