মৃত মায়ের পাশে অঝোরে কান্না করা ছোট্ট শিশুটি সম্পর্কে যা জানা গেল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ জুন ২০২৪, ১৬:৪৫
অ- অ+

মৃত মায়ের পাশে বসে সন্তানের কান্না করার ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও পরিচয় মিলেছে। ছোট শিশুটির নাম ইশা (৬)। আর তার মায়ের নাম রুনা খাতুন (৪০)। মারা যাওয়া রুমার বাড়ি পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ঘোষপাড়া গ্রামে।

ঈদের আগের দিন রাতে (রবিবার) রাজধানীর টেকনিক্যালে শাহজাদপুর ট্রাভেলস কাউন্টারে মরদেহের পাশে শিশুটির কান্না করার ছবি ভাইরাল হয়। এই ঘটনায় অনেকে শিশুটি ও তার মায়ের পরিচয় চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। মর্মস্পর্শী এই ঘটনাটি অনেকের মনে নাড়া দেয়। ছোট্ট শিশুটি মায়ের পাশে বসে আর্তনাদ করতে করতে এক পর্যায়ে ঘুমিয়ে যায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় এবং শিশুটিকে থানায় নিয়ে যায়। সোমবার রাতে রুনার স্বামী ইসরাফিল হোসেনের পরিচয় পাওয়া যায়। তার বাড়ি রাজশাহী।

মৃত রুনার ভাবী জুঁই খাতুন মঙ্গলবার (১৮ জুন) গণমাধ্যমে বলেন, ‘রুনার দুই মেয়ে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। আর ছোট মেয়ের নাম ইশা। ফেসবুকে রুনার মৃত্যুর খবর জানতে পেরে সোমবার (ঈদের দিন) তার পরিবার ঢাকায় পৌঁছায়। তখন লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিল। দারুস সালাম থানার মাধ্যমে পরে মরদেহ বুঝে নেওয়া হয়।’

৬ বছরের ছোট মেয়েকে নিয়ে ঈদের আগেরদিন রুনা খাতুন ঢাকা থেকে বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। টেকনিক্যাল মোড়ে শাহজাদপুর ট্রাভেলস-এ কাউন্টারে যাবার পর হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি। তার সঙ্গে থাকা অবুঝ শিশুটি মৃত মায়ের পাশে বসে অঝোরে কাঁদছিল। হৃদয় বিদারক এ দৃশ্য দেখে তার নাম পরিচয় জানতে ও পরিবারের খোঁজ করতে কেউ একজন মৃত মায়ের লাশের পাশে বসে কান্না করা শিশুর ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।’

দারুস সালাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দুলাল হোসেন বলেন, ‘রবিবার রাত ১০টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিক নিহতের নাম পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে খবর পেয়ে রুনার স্বজনরা সোমবার (১৭ জুন) বিকালে থানায় এলে তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনা একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’

দুলাল হোসেন আরও বলেন, ‘কাউন্টারের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে রুনা সেখানে গিয়ে শিশুকন্যাকে রেখে ওয়াশরুমে যান। অনেক সময় ধরে তিনি আর ফেরেননি। এদিকে তার শিশুকন্যা কাউন্টারে বসে কান্নাকাটি শুরু করে। তার কান্নাকাটি দেখে কাউন্টারে থাকা অন্যান্য লোকজন ও মহিলারা ওয়াশরুমে দরজা ভেঙে তার লাশ বের করে।’

এদিকে ঢাকাটাইমসের পাবনা প্রতিনিধি জানিয়েছেন— সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে রুনার মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায় স্বজনরা। রাতেই তার জানাযা নামাজ ও দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার।

অষ্টমনিশা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মজির হোসেন বলেন, ‘রুনার এক স্বামী মারা যাওয়ার পর রাজশাহীর এক চেয়ারম্যানের (ইসরাফিল) সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সেই সংসারেই জন্ম ছোট মেয়েটার।’

(ঢাকাটাইমস/১৮জুন/এসএস/এসআইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গাজীপুরে হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলা, আটক ২ 
পল্লবীতে বিশেষ অভিযানে পেশাদার ছিনতাইকারীসহ ২৬ জন গ্রেপ্তার
হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে বাংলামোটরে এনসিপির বিক্ষোভ
দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকট অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে পারে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা