কুমিল্লায় কুবিসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা ও বিচারের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এতে সড়কের দুই পাশে প্রায় আট কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
মহাসড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত অবরোধকারীদের কয়েকজন শহরের অভিমুখে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পুলিশের গাড়ি ও মোটরসাইকেলে ভাঙচুর করে। গাড়িটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ব্যবহৃত গাড়ি বলে পুলিশ জানায়।
মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে কুবির প্রধান ফটকে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসে জমায়েত হন। তাদের মধ্যে আছে কুমিল্লা পলিটেকনিক কলেজ, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, সিসিএন শিক্ষা পরিবারের শিক্ষার্থীসহ কুমিল্লা শহরের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এরপর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিকাল পৌনে চারটায় মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে অবস্থান করছিলেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় গেটের সামনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ হলের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে এলে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে যান।
সেখানে হলের গেটে তালা দেখে শিক্ষার্থীরা তালা ভাঙার চেষ্টা করেন। পরে হল প্রভোস্ট তাদের সঙ্গে কথা বলে গেট খুলে দিলে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে আবার ক্যাম্পাস গেট যান। ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদে অন্য শিক্ষার্থীরা ঢুকার সময় প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে বাদানুবাদ হয়।
এরপর সেখান থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে রাস্তার পাশের বাড়ি, দোকান থেকে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পানি সরবরাহ করা হয়।
মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন। তারা এসব হামলার বিচার চান।
এই বিষয়ে হাইওয়ে ময়নামতি ক্রসিং থানার ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, 'যানজট শুধু বাড়ছেই। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার যানজটের খবর পেয়েছি।'
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'শিক্ষার্থীরা যতক্ষণ ক্যাম্পাসে ছিল, ততক্ষণ আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। অনেক বহিরাগত ঢুকছিল ক্যাম্পাসে। আমরা প্রক্টরিয়াল বডি বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছি। তখন তাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয় আমাদের।’ শিক্ষার্থীরা মহাসড়কের দিকে যাওয়ার সময় তিনি পুলিশ প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে অনুরোধ করেছেন বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/মোআ)

মন্তব্য করুন