প্রশাসনের জব্দ ৬০ হাজার ফুট বালু লুটে নিল সিন্ডিকেট

কক্সবাজারের টেকনাফে প্রশাসনের জব্দকৃত ৬০ হাজার ফুট বালু ফের লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রায়হান সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিবর্তনের সুযোগে এই লুটপাট করেছে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের রায়হানের সিন্ডিকেট।
জানা গেছে, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খাটাখালী এলাকায় খাল থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এরফানুল হক চৌধুরী সরেজমিন পরিদর্শনে যান। ওই সময় রায়হান সিন্ডিকেটের উত্তোলিত প্রায় ৬০ হাজার ফুট বালু জব্দ করেন তারা।
কিন্তু জব্দের কয়েক মাস পরে সরকার পরিবর্তন হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এসি ল্যান্ডের বদলি হয়। রায়হান সিন্ডিকেটের লোকজন আবার বালু লুটে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সরকার পতনের পরপরই রাতের আঁধারে ডাম্পার ও ট্রাক দিয়ে বালুগুলো নিয়ে যায় রায়হান সিন্ডিকেটের লোকজন। স্থানীয়রা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখে। ভয়ে ওই বালুখেকো সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ আর কথা বলে না।
এদিকে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিনরাত ডাম্পার-ট্রাক দিয়ে বিরতিহীন বালু উত্তোলন করছে ওই সিন্ডিকেট। এতে বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে পরিবেশ, কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই। এতে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে ওই বালুখেকো সিন্ডিকেট।
স্থানীয় অনেকের বিস্ময় প্রকাশ করেন, উপজেলা প্রশাসনের জব্দ বালু কীভাবে লুট করে নিয়ে যায় কেউ!
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তার অজানা। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় প্রশাসন তাকে জরিমানা করেছিল বলে স্বীকার করেন রায়হান। জব্দকৃত বালু নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জমির মালিকের জোরাজুরিতে বালুগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ কিন্তু বালু সরানোর বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত না করার প্রশ্নে কোনো জবাব দেননি তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/মোআ)

মন্তব্য করুন