ক্রিকেটারদের পুরো পারিশ্রমিক এখনও দিতে পারেনি রাজশাহী

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএল মানেই যেনো নিত্য নতুন নাটকের কারখানা। তবে সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলে দুর্বার রাজশাহী আগের সব আসরের নাটকীয়তার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ইস্যু নিয়ে। এমনকি টুর্নামেন্ট শেষেও পুরো পারিশ্রমিক পায়নি দলটির ক্রিকেটাররা।
ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক শফিকুর রহমানকে আইনি হেফাজতে পর্যন্ত নেওয়া হয়। তখন ক্রীড়া মন্ত্রাণালয় থেকে জানানো হয়েছিল, ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে খেলোয়াড়দের সব পাওনা পরিশোধ করবে তারা। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশি ক্রিকেটারদের কেবল ৭৫ শতাংশ পারিশ্রমিকই দিতে পেরেছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। যদিও ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তারা ক্রিকেটারদের সমস্ত পাওনা পরিশোধ করবে বলে জানিয়েছিল। বিষয়টি সমাধানে বিপিএলের শেষদিকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয় রাজশাহী মালিক শফিকুর রহমানকে। সেখানে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন– ২৫ শতাংশ হারে ৩, ৭ এবং ১০ ফেব্রুয়ারি সকল পাওনা পরিশোধ করা হবে।
বিপিএলের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিন দফায় ক্রিকেটাররা পেয়েছেন পারিশ্রমিকের ৭৫ শতাংশ অর্থ। অর্থাৎ, বাকি আরও ২৫ শতাংশ। সেই অর্থ পরিশোধে ৮ মার্চ পর্যন্ত সময় নিয়েছে দুর্বার রাজশাহী। বিপিএল চলাকালে ২৫ শতাংশ, ৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিশ্রুতির চেয়ে কমিয়ে ২০ শতাংশ এবং সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার দেওয়া হয়েছে আরও ২৫ শতাংশ অর্থ।
বিবৃতিতে দুর্বার রাজশাহী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থানীয় ক্রিকেটারদের মোট ৭৫ শতাংশ পারিশ্রমিক পরিশোধ করা হয়েছে। এ নিয়ে তিনটি ইনস্টলমেন্টে তাদের দেওয়া হয় অর্থ। বিসিবির নির্দেশনা অনুসারে আগামী ৮ মার্চের মধ্যে বাকি ইনস্টলমেন্টও সম্পন্ন করা হবে। ক্রিকেটারদের ধৈর্য্য এবং সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা, আমরাও প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পেরে খুশি।
এর আগে পারিশ্রমিক বকেয়া ইস্যুতে বিপিএলজুড়ে সমালোচিত ছিল দুর্বার রাজশাহী। ক্রিকেটারদের অনুশীলন এবং ম্যাচ (বিদেশি ক্রিকেটার) বয়কট, হোটেল এবং অন্যান্য স্টাফদের বেতন বকেয়াসহ নানা অনিয়মের জন্ম দেয় তারা। এ ছাড়া পারিশ্রমিক প্রদানে যে চেক ব্যবহার করেছিল দুর্বার রাজশাহী। সেই চেক বাউন্সের ঘটনাও ঘটেছে।
(ঢাকাটাইমস/১৪ ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন