হজ: মিনা থেকে আরাফাত ময়দানে যাওয়ার অপেক্ষায় হাজিরা

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ০৫ জুন ২০২৫, ০৯:৫৬| আপডেট : ০৫ জুন ২০২৫, ১০:২৭
অ- অ+

হিজরি ১৪৪৬ সনের হজ পালিত হচ্ছে। ইহরাম পরিহিত লাখো হজযাত্রীর মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। লাখো হাজির লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত মিনা উপত্যাকা। এখন তারা অপেক্ষায় আরাফাত ময়দানে যাওয়ার অপেক্ষায়।

হাজিরা আজ সূর্যাস্ত (স্থানীয়) পর্যন্ত মিনায় অবস্থান করে সন্ধ্যায় রওয়ানা হবেন মুজদালিফার উদ্দেশ্যে। সেখানে রাত যাপন করবেন এবং সেখান থেকে শয়তানকে পাথর মারার জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন।

আরাফার ময়দান মিনা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত। হাজিরা আরাফার ময়দানে মসজিদে নামিরা থেকে প্রদত্ত হজের খুতবা শুনবেন। সেখানে তারা জোহর ও আসর নামাজ একসঙ্গে পড়বেন।

জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতাগুলো শেষ করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হাজিরা চার দিনের বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন।

৯ জিলহজ শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হাজিরা চলে যাবেন মুজদালিফায়। সেখানে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন।

১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, কোরবানি দেওয়া ও মাথা মুণ্ডন করে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন।

সেখান থেকে তারা আবার মিনায় ফিরবেন। পরে মিনায় ১১ ও ১২ জিলহজ থেকে তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

সৌদি কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এবার বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১৫ লাখ হজযাত্রী হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

আনাদোলু বার্তার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বছর হজযাত্রী ছিলেন ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ১৬৪ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ২১ হাজার ৮৫৪ জন ছিলেন সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ হজযাত্রী। সেবার বিশ্বের ২০০টির বেশি দেশের মানুষ হজ করেন।

হজ ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। হিজরি চন্দ্রপঞ্জিকার ১২তম মাসে অনুষ্ঠিত হয় হজব্রত। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমের জন্য শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্য থাকলে জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করা ফরজ।

হজের প্রথম দিনে পুরুষ হজযাত্রীরা নিজেদের পোশাক বদলে সাদা রঙের দুই টুকরা কাপড় (ইহরাম) পরে ইহরামের অবস্থায় প্রবেশ করেন। নারীরা শালীন পোশাক পরিধান করে মাথা ঢেকে নেন।

এরপর হজযাত্রীরা ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরিফ ঘিরে তাওয়াফ (তিনবার চক্কর) দেন। পাশাপাশি তারা সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝে সাতবার হাঁটেন, যাকে সাঈ বলা হয়।

পরে তারা মক্কা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের মিনায় যান। সেখানে তারা তাঁবুর মধ্যে রাত কাটান।

(ঢাকাটাইমস/৫জুন/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ছাগলকাণ্ডের সেই ছাগলটির খোঁজ মিলল
গাইবান্ধায় বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ৩
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ঈদের আগে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ 
সিরাজগঞ্জে যমুনায় পানি বৃদ্ধি, ডুবে গেছে ফসলি জমি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা