গাজায় ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীসহ আরও ৭০ জনকে হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্ববর হামলায় এক দিনে আরও অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক। নিহতদের মধ্যে ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন।
আজ বুধবার (১১ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়।
গাজার স্বাস্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী প্রায় ৫৫ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে স্থানীয় চিকিৎসা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলা হয়, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় ৭০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন। জাতিসংঘের মতে, এখন দুর্ভিক্ষ অবস্থা চলছে গোটা গাজা উপত্যকায়।
মঙ্গলবার আবারও গাজার কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত নেতসারিম করিডরের কাছে খাবার সংগ্রহে আসা মানুষের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। গাজা সরকারের তথ্য অফিস জানায়, এতে অন্তত ২০ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ১২ বছরের এক শিশুও রয়েছে। শিশুটির নাম মোহাম্মদ খলিল আল-আথামনেহ বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০০ জন।
এই ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রগুলো পরিচালনা করছে ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ) নামের একটি বিতর্কিত সংস্থা, যার কার্যক্রম ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে চলছে এবং এটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় জনগণ এই বিতরণ কেন্দ্রগুলোকে ‘মানব কসাইখানা’ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ গত ২৭ মে থেকে সংস্থাটি ত্রাণ কার্যক্রম শুরুর পর থেকে ১৫০ জনের বেশি মানুষ সেখানে প্রাণ হারায়। আর আহত হয়েছে প্রায় ১৫০০ জন।
(ঢাকাটাইমস/১১জুন/মোআ)

মন্তব্য করুন