এরশাদের দুর্নীতি মামলার নিষ্পত্তিতে হাইকোর্টের রায় বহাল

সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের বিরুদ্ধে করা রাডার ক্রয় দুর্নীতির মামলা আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে আগামী ২ জানুয়ারি শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন আদালত।
চেম্বার বিচারপতি নিজামুল হক মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
গত ২৪ নভেম্বর দুদকের করা আবেদন গ্রহণ করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রাডার ক্রয় দুর্নীতি মামলাটি ৩১ মার্চের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দেন। একইসঙ্গে যুক্তিতর্কের পর্যায় থেকে প্রত্যাহার করে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের আইন অনুযায়ী পুনরায় জেরা করার অনুমতি দেন। হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করেন এই মামলার আসামি বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সুলতান মাহমুদ।
এরশাদ ও সুলতান মাহমুদ ছাড়া এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিমান বাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও ইউনাইটেড ট্রেডার্সের পরিচালক এ কে এম মুসা। মামলার শুরু থেকে মুসা পলাতক রয়েছেন।
জানা গেছে, মামলাটি বিচারের জন্য এলে ২০১৪ সালে ঢাকার তৎকালীন বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবদুর রশীদ শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন। এরপর মামলাটি কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে আসে। এই মামলায় ৩৮ সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ন্যায়বিচারের জন্য মামলাটির নতুন করে সাক্ষ্য নেয়ার প্রয়োজন উল্লেখ করে গত ২১ অক্টোবর মামলায় পুনরায় সাক্ষ্য নেয়ার আবেদন করে দুদক। পুনরায় সাক্ষ্য নেয়ার এ আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। এরপর বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্ট আসে দুদক।
মামলা নথি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিন কম্পানির রাডার কিনে। যাতে রাষ্ট্রের ৬৪ কোটি চার লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়। এই অভিযোগে ১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো (বর্তমানে বিলুপ্ত) মামলাটি দায়ের করে। এরপর ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়।
(ঢাকাটাইমস/২০ডিসেম্বর/এমএবি/জেবি)

মন্তব্য করুন