‘মিথ্যা সংবাদ’ প্রচারের প্রতিবাদ সাংসদ বাবুর

রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকারী, অনুপ্রবেশকারীদের চক্রান্তে বেশকিছু নামধারী সংবাদমাধ্যমে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রচার বন্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের (আড়াইহাজার) সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু।
বুধবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দেশের ইতিহাসের অন্যতম নিকৃষ্টতম গ্রেনেড হামলার শিকার হয়ে সারা শরীরে গ্রেনেডের অসংখ্য স্প্রিন্টার বয়ে বেড়াচ্ছি। এক-এগারোর সময়ে কারাবন্দি শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে আল্লাহর রহমতে কারাবন্দি শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্যদিয়ে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জনগণের ভোটে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হই।’
চলমান এই শুদ্ধি অভিযানের মধ্যেও আওয়ামী লীগবিরোধী একটি চক্র তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছে উল্লেখ করে বাবু বলেন, ‘এই শুদ্ধি অভিযান চলাকালে হঠাৎ করে কিছু ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আমাকে নিয়ে অপ্রাসঙ্গিক সংবাদ প্রকাশ করে। যার সাথে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতাই নেই। টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, ক্যাসিনো, দুর্নীতি যা আমার জন্য কল্পনাতীত। এরকম কিছু অপকর্মের সাথে আমাকে সম্পৃক্ত করে সংবাদ প্রকাশ করে আমার ব্যক্তিগত সম্মানহানি হয়েছে এবং আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।’
গত ১১ বছরে আড়াইহাজারে কোনো রাজনৈতিক সহিংসতা ঘটেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা পুরোপুরি বজায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে কোনো মতভেদ সৃষ্টি হয়নি। এ কারণে স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিটি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। আমার নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ সকল অঙ্গসংগঠন সুসংগঠিত হয়েছে।’
জাতীয় নির্বাচন ও দলীয় সম্মেলনের আগেই এসব ষড়যন্ত্রকারীরা তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার সাংগঠনিক কার্যক্রমে ঈর্ষান্বিত হয়ে আওয়ামী রাজনীতিতে অনুপ্রবেশকারীরা ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করার আশায় আমার উন্নয়ন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম সহ্য করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় অসত্য সংবাদ প্রকাশ করানোর পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় নামে-বেনামে অসত্য অভিযোগ দায়ের করে দেশ ও জাতির কাছে আমাকে ছোট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৬ সালে জনৈক বারেক আলী নামের এক ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে দুদকে একটি অভিযোগ দায়ের করে। দীর্ঘ দুই বছর অনুসন্ধান ও তদন্ত করে দুদক আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের সত্যতা পায়নি। পরে সেটি থেকে আমি অব্যাহতি পাই।’
পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জনগণের কাছে তার দায়বদ্ধতা আছে উল্লেখ করে এমপি নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘ইতোপূর্বে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রচারিত অসত্য অভিযোগের সাথে আমার কোনোই সম্পৃক্ততা নেই। ন্যায়-নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকে দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে সব সময় নিয়োজিত রাখতে চাই। এটা আমার অঙ্গীকার।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে এসব চক্রান্ত করছে ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুবলীগের কমিটির নেতা ইকবাল পারভেজ। যিনি নিজে দুদকের মামলায় ইতোমধ্যেই সাজাপ্রাপ্ত।’
এ সময় বাবু অসত্য সংবাদ বন্ধে সাংবাদিকদের সহায়তা চান।
(ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/এসটি/এলএ)

মন্তব্য করুন