ইংরেজিতে মুস্তাফিজের অনীহা

ক্রীড়াঙ্গনে খেলোয়াড়দের ইংরেজী কম জানার ব্যাপারটা নতুন কিছু নয়। সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি-নেইমারদেরও ইংরেজি দুর্বলতার কথা সবারই জানা। ক্রিকেটেও হরহামেশা দেখা মেলে একদমই ইংরেজী না জানা ক্রিকেটারদের, বিশেষ করে এশিয়ার ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোতে সংখ্যাটা বেশ ভালোই। বাংলাদেশের বর্তমান দলে ইংরেজী না জানা ক্রিকেটারদের একজন মুস্তাফিজুর রহমান।
অন্য অনেকের চাইতে মুস্তাফিজের নামটা আলাদাভাবে বলার কারণ নিজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে ক্যারিয়ারের শুরুতেই বিশ্ব ক্রিকেটের নজর নিজের দিকে ফেরাতে বাধ্য করেন বাঁহাতি এই পেসার। সাতক্ষীরা থেকে উঠে আসা এই পেসারের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশ গড়পড়তাই। আইপিএলের মত ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্ট খেলে এসেছেন স্বল্প ইংরেজী জ্ঞান নিয়ে। তবে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছেন বেশ ভালই। প্রথম আসরে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ তার জন্য দোভাষী নিয়োগ দিয়েছে এমন গুঞ্জনও উঠেছিল।
শুধু মুস্তাফিজ নয়, বিশ্ব ক্রিকেটে শুরুর ক্যারিয়ারে এমন ইংরেজী কম জানা ক্রিকেটারের সংখ্যা কম নয়। তবে সময়ের পালাক্রমে ক্যারিয়ারের শক্ত অবস্থানের মত চলন বলন আর ভাষাগত দিক থেকেও নিজেদের পুরো বদলে ফেলেছেন সেসব ক্রিকেটার। আর বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট খেলতে হয় বলে ভিন্ন ভিন্ন দেশের ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ, ম্যানেজমেন্ট, গণমাধ্যমের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য ইংরেজী জানাটা খুব জরুরি। তবে এক্ষেত্রে মুস্তাফিজ যেন ভিন্ন জগতের লোক। অন্যদের মতো নিজেকে আপস্কেল করতে চান কিনা জানতে চাওয়া হয় মুস্তাফিজের কাছে।
মায়ের ভাষা বাংলা উল্লেখ করে বাঁহাতি এই পেসার জানান থাকতে চান যেমন আছেন তেমনই, ‘আমি যেভাবে আছি সেভাবেই থাকতে পছন্দ করি। অন্য কারোও কথা নিয়ে ভাবছিনা। বাংলায় কথা বলা এটা আমার মা শিখাইছে ভাই।’
এদিকে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের পেসার শরিফুলকে ভাবা হচ্ছে ভবিষ্যত মুস্তাফিজ হিসেবে। শুধু শরিফুল নয় যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের আরেক পেসার তানজিম হাসান সাকিব ও বয়স ভিত্তিক পেরিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ শহিদুল ইসলামদের মধ্যে অনেকেই দেখছেন ভবিষ্যত জাতীয় দলের তারকা। তরুণ ক্রিকেটারদের এমন পারফরম্যান্স নিজের জন্য অবশ্য হুমকি মানতে নারাজ মুস্তাফিজ। তার মতে এমন ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা সবার জন্যই ভালো।
এ প্রসঙ্গে ২৪ বছর বয়সী বাঁহাতি এই পেসার বুধবার (১৮ মার্চ) মিরপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরাতো আজীবন খেলবোনা। আমি ২১ বছর বয়সে ঢুকছি। এখন শরিফুলের বয়স ১৯। আরো দুই বছর যদি খেলি সাত বছর হয়ে যাবে আমার জাতীয় দলের ক্যারিয়ার। মানে পেছনে তো আসা লাগবে কারও। আমাদের জন্য তো ভালো। এখন আমার কথা হল উপরে একটা লক্ষ্য আছে যে কে থাকবে? যে ভালো করবে সে থাকবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা টা সবাইকে দিয়ে যদি ভালো হয়, সবার জন্যই ভালো। আমিও চাইবো ভালো করতে, অন্যরাও চাইবে ভালো করতে।’
(ঢাকাটাইমস/১৯ মার্চ/এআইএ)

মন্তব্য করুন