সাভারে বেতনের দাবিতে ফের শ্রমিকদের অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
| আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২০, ১৫:৫৬ | প্রকাশিত : ১৬ এপ্রিল ২০২০, ১৫:৩১

সাভারের বিভিন্ন এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে ও ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে আবারো অবস্থান নিয়েছে কয়েকটি কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিক। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আশুলিয়ার প্রায় সাতটি কারখানার সামনে বকেয়া বেতন ও ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। এর আগে বুধবারও বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন।

কারখানাগুলোর মধ্যে জিরানীবাজার এলাকার ফ্রাউলিন ফ্যাশন লিমিটেড, কুটুরিয়ার জেড এ অ্যাপারেলস লিমিটেড, একই এলাকার টপ গ্রেড ওয়াসিং লিমিটেড, নরসিংহপুর এলাকার আদিয়াত অ্যাপারেলস লিমিটেড, খেজুরবাগান এলাকার ক্রিস্টাল কম্পোজিট লিমিটেড, টেঙ্গুরি এলাকার গ্লোরিয়াস ড্রেস লিমিটেডে বেতনের দাবিতে ও কবিরপুর এলাকার পলমল গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানের সামনে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার অবস্থান নেয় শ্রমিকরা।

শ্রমিকরা বলেন, এই মাসের প্রথমের দিকে আমাদের বেতন দেয়ার কথা। কিন্তু বিভিন্ন তারিখ দিয়ে টালবাহানা করছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। একবার বলছে বিকাশে দেবে, একবার বলছে হাতে হাতে দেবে। কিন্তু কোনোভাবেই বেতন দিচ্ছে না। আমরা খুবই অসহায়ভাবে দিন যাপন করছি। আমরা তো ভিক্ষা চাই না, আমাদের কাজের টাকা আমাদের দিতে এতো কষ্ট কিসের। আজকের মধ্যেই আমাদের বেতনের টাকা চাই।

গ্লোরিয়াস ড্রেসেস লিমিটেডের শ্রমিক কামরুল বলেন, আমাদের কারখানায় প্রায় ৪৫০ জন শ্রমিক আছে। গত তিন মাস যাবৎ আসাদের বেতন দিচ্ছে না কারখানা কর্তৃপক্ষ। ১০ এপ্রিল আমাদের বেতন পরিশোধের সময় দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারা বেতন না দিয়ে আবার ১৬ এপ্রিল সময় দেয়। আজ ১৬ এপ্রিল কারখানার সামনে এসে দেখি কারখানা বন্ধ। কর্তৃপক্ষের কেউ ফোন ধরে না। পরে জিরানী-আমতলা আঞ্চলিক সড়ক বন্ধ করে শ্রমিকরা। এতে অনেক ছোট ছোট যানবাহন আটকে পড়ে।

এ বিষয়ে গ্লোরিয়াস ড্রেসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে কবিরপুর এলাকার পলমল গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানের সামনে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে অবস্থান করছে শ্রমিকরা। তারা বলেন, কারখানা থেকে ফোন করে বলছে, আমাদের কারখানায় তেমন অর্ডার নেই, তাই আপনাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো। এই সময়ে ছাঁটাই করলে আমরা তো না খেয়ে মারা যাবো। এদের মনে কোনো দয়ামায়া নেই। আমাদের জন্য একটু দয়া করুন। এই ছাঁটাই প্রক্রিয়াকে আমরা মানি না। কারখানা বন্ধের সময় ফোন করে ছাঁটাইয়ের খবর দেয়া খুবই কষ্টকর ব্যাপার। আমরা আমাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিল্প পুলিশ-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার জানে আলম খান বলেন, বকেয়া বেতনের দাবিতে ছয়-সাতটি কারখানায় সকাল থেকে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে কারখানা মালিকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের দিন ধার্য করে দেয়া হলে দুপুরের দিকে তারা কারখানার অবরোধ ছেড়ে দেয়।

(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :