নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সাজা

গত বছরের ১৫ মার্চ শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে জুমার নামাজের জন্য হাজির হয়েছিলেন মুসল্লিরা। এ সময় মুসল্লিদের হত্যা করার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় উগ্র শ্বেতাঙ্গবাদী যুবক ব্রেন্টন টারান্ট। বৃহস্পতিবার তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন ক্রাইস্টচার্চের সর্বোচ্চ আদালত। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন কঠোর সাজা প্রদান করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় ব্রেন্টন টারান্ট নিশ্চুপ ছিলেন। তিনি এই রায়ের কোনো প্রতিবাদ জানাননি। তবে আদালত তাকে অমানবিক এবং সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। খবর নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের।
রায়ে বলা হয়েছে, কারাগারেই আমৃত্যু থাকতে হবে ব্রেন্টনকে। মৃত্যুর আগে কোনো কারণেই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন না। এছাড়া কোনো কারণেই তাকে প্যারোল দেওয়া হবে না।
২৯ বছর বয়সী ব্রেন্টনকে ৫১ জনকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে দোষী, ৪০ জনকে হত্যা চেষ্টা এবং সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বিচারক ব্রেন্টন ট্যারান্টের সাজা ঘোষণার সময় হামলায় বেঁচে যাওয়া এবং ভুক্তভোগীদের স্বজনরা আদালতে তার সামনেই উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালের ১৫ মার্চ ওই হামলা চালানোর সময় মাথার হেলমেটে ক্যামেরা লাগিয়ে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করেছিলেন ব্রেন্টন। প্রথমে আল নুর মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের ওপর গুলি শুরু করেন তিনি। তারপর এই মসজিদ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে লিনউড মসজিদের উদ্দেশে গাড়ি চালান। সেখানেও মুসল্লিদের ওপর অতর্কিতে গুলি করেন ব্রেন্টন।
ঢাকা টাইমস/২৭আগস্ট/একে

মন্তব্য করুন