চমেকে ৪ শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের ‘নির্যাতন’, দুজন আইসিইউতে

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:৪০ | প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:০৭

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসে শিবিরের কর্মী সন্দেহে চার শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র-আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) চকবাজার থানার চট্টেশ্বরী রোডের ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

নির্যাতিত শিক্ষার্থীরা হলেন- ৬২তম ব্যাচের ছাত্র জাহিদ হোসেন ওয়াকিল, সাকিব হোসেন, এম এ রায়হান ও মোবাশ্বির হোসেন। এর মধ্যে জাহিদ হোসেন ওয়াকিল ও সাকিব হোসেন চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

জানা যায়, শিবির সন্দেহে বুধবার দিবাগত রাতে ছাত্রাবাসের বিভিন্ন রুম থেকে তুলে নিয়ে তাদের নির্যাতন করা হয়। ২ ঘণ্টা ধরে ছাত্রবাসের আলাদা আলাদা কক্ষে তাদের নির্যাতন করা হয়। হোস্টেল এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ সকাল থেকে বিষয়টি জেনেও উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। পরে অন্য শিক্ষার্থীদের তাগাদায় দিনভর চেষ্টার পর বিকালে তাদের উদ্ধার করে প্রশাসন।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- ছাত্রলীগ নেতা অভিজিৎ দাশ, রিয়াজুল জয়, জাকির হোসেন সায়াল, মাহিন আহমেদ ও ইব্রাহিম সাকিব। মারামারিতে জড়িয়ে তারা কলেজ থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

চমেক ছাত্রবাসের ইনচার্জ ডা. মিজানুর রহমান চৌধুরী নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায় ছিলাম। দুপুরে শুনেছি আমাদের চারজন ছাত্রকে মেরে ছাত্রবাসে আটকে রাখা হয়েছে। শুরুতে আমি হোস্টেল সুপার ডা. রিজওয়ান রোহানকে খবর নিতে বলি। কিন্তু খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আমি প্রিন্সিপাল ম্যাডামকে বলি। পুলিশসহ গিয়ে তাদের দুই জনকে উদ্ধার করে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।’

এদিকে নির্যাতনের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে এম এম রায়হান কুমিল্লায় এবং মোবাশ্বির নারায়ণগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। চকবাজার থানার ওসি মনজুর কাদের মজুমদার বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, শিবির সন্দেহে ৪ শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন দুই ছাত্রের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তবে কারা তাদের নির্যাতন করেছে সে বিষয়ে তারা কিছুই বলছে না। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত ‍পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :