কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম রঙে সেজেছে প্রকৃতি

কৌশিক রায়, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ মে ২০২৩, ২০:৩৮

চোখ ধাঁধানো কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম রঙে সেজেছে প্রকৃতি। চোখ মেললেই দেখা মিলছে গ্রীষ্মের রোদ্দুরের উত্তাপ গায়ে মেখে লাল টুকটুকে সাজে সেজেছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। বৈশাখের রোদ্দুরের সবটুকু উত্তাপ গায়ে মেখে নিয়েছে রক্তিম পুষ্পরাজি। সবুজ পাতার মাঝে যেন জ্বলছে আগুন! লাল, হলুদ ও সাদা এই তিন রঙের মধ্যে লাল ও হলুদ রঙের ফুলের দেখা মিলছে বেশি, যা দূর থেকেও পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

ঘামঝরা দুপুরে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া যেন প্রশান্তি এনে দিচ্ছে রাজধানীর যান্ত্রিক কর্মব্যস্ত মানুষের মনে। আর তাই তো এই সৌন্দর্য্য মহাআনন্দে উপভোগ করছে রাজধানীর সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।

কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরি কর্ণে / আমি ভুবন ভোলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে’। ইট-পাথর আর কোলাহলের নগরীতে যেন সব ক্লান্তি ভুলিয়ে দিতেই ফোটে কৃষ্ণচূড়া। তার রঙ যেন সতেজ করে দেয় পথিকের মন। নগরীর রুক্ষ প্রকৃতিতে যেন এখন জীবনের স্পন্দন। রাজধানীতে গাছে গাছে কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখে মনে হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের সঙ্গে ডালে ডালে যেন আগুন লেগেছে।

রাজধানীর প্রধান সড়ক, অলিগলিসহ বিভিন্ন স্থানের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছের পাশাপাশি জারুল, সোনালুসহ বিভিন্ন গাছ লাগানো হয়েছিল অনেক আগে। বিশেষ করে সংসদ ভবন এলাকা, চন্দ্রিমা উদ্যান, শ্যামলী, মিরপুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনাসহ শহরের অলিগলিতে এই গাছের দেখা মেলে। উষ্ণ বা গরম আবহাওয়ায় মূলত এই গাছ ভালো জন্মে।

জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন আগারগাঁওয়ের দিকে সড়কটিতে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া, রাঁধাচূড়া ফুল। এছাড়া সংসদ ভবন ও চন্দিমা উদ্যানের আশপাশের সড়কে ফুটতে দেখা গেছে কৃষ্ণচূড়া, রাঁধাচূড়া, জারুল, সোনালু। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, মানুষ দল বেঁধে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সঙ্গে ছবি তুলছেন। কেউ কেউ সেলফি তুলছেন। মোটরসাইকেল বা গাড়ি থামিয়ে ছবি তুলতে দেখা গেল কয়েক তরুণকে। উঠতি বয়সি কিশোর-কিশোরীরা ভিড় করছেন ফুলের সঙ্গে নিজের একটি মুহূর্তকে বন্দি করতে।

চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘুরতে আসা শুভঙ্কর ঘোষ ঢাকাটাইমসকে বলেন, রাধা ও কৃষ্ণের সঙ্গে নাম মিলিয়ে এ বৃক্ষের নাম হয়েছে কৃষ্ণচূড়া। অফিসে যাবার পথে প্রতিনিয়ত জারুল, রাধাচূড়া গাছের ফুলগুলো দেখে খুবই ভালো লাগে। তাই তো আজ এসেছি ফুল গুলো কাছ থেকে দেখতে।

কৃষ্ণচূড়া আদি নিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কারে। এটি সাধারণত ১১ থেকে ১২ মিটার লম্বা হয়ে থাকে। তবে এর শাখা-প্রশাখা অনেক দূর পর্যন্ত ছড়ানো থাকে। বাংলাদেশে এপ্রিল থেকে জুন মাসে দৃষ্টিনন্দন ফুলটির দেখা মেলে। এর বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিখ রেজিয়া। এটি ফাবাসিয়ি পরিবারের অন্তর্গত, যা গুলমোহর নামেও পরিচিত। কৃষ্ণচূড়া ফুলগুলোয় সাধারণত বড় চারটি পাপড়ি যুক্ত হয়। এগুলো প্রায় ৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। সৌন্দর্যবর্ধক গুণ ছাড়াও এই গাছ উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দিতে বিশেষভাবে উপযুক্ত।

বাংলাদেশে সাধারণত লাল রঙের কৃষ্ণচূড়া গাছ বেশি দেখা যায়। তবে উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের মতে, কৃষ্ণচূড়া লাল, হলুদ ও সাদা—এই তিন রঙের হয়। লাল ও হলুদ রঙের কৃষ্ণচূড়ার দেখা মিললেও সাদা রঙের কৃষ্ণচূড়ার দেখা মেলে কালেভদ্রে।

(ঢাকাটাইমস/১৮মে/ কেআর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

ক্যানসার-ডায়াবেটিসসহ বহু জটিল রোগের মোক্ষম দাওয়াই আখের রস

এই গরমে কেমন তাপমাত্রার পানিতে গোসল করলে শরীর থাকে চাঙ্গা?

পাইলসের মতো যন্ত্রণায়ক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় যে পাঁচ ফল

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে হাঁটার চেয়ে বেশি কার্যকর সিঁড়ি ভাঙা

গরমে তৃষ্ণা পেলেই ঠান্ডা পানি খান? বিপদের কিন্তু শেষ থাকবে না

ঘুমের মধ্যে মুখ হাঁ হয়ে যায়? কী ভয়ানক বিপদ হতে পারে জানুন

যেসব খাবার রাতে খেলে ঘুমের মারাত্মক সমস্যা হতে পারে

সকালের নাস্তায় কী খাবেন কী নয়? লাভ-ক্ষতিসহ জানুন সবিস্তারে

প্রস্রাবে দুর্গন্ধ? বড়সড় বিপদের ইঙ্গিত কিন্তু! করণীয় কী জানুন

পৃথিবীতে মোট কত ধরনের চা আছে? জানলে চোখ কপালে উঠবে আপনারও

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :