বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত, অন্তত ১২ জনের প্রাণহানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ জুলাই ২০২৩, ১৭:২৭

উত্তর ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রবল বর্ষণে গত দুই দিনে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগামী দু-একদিন আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ইন্ডিয়ান মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি) দিল্লি, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং জম্মু ও কাশ্মীরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। খবর এনডিটিভির।

আইএমডি বলেছে, উত্তর ভারতে একটি পশ্চিমা দুর্যোগ বিরাজ করছে, যার ফলে গতকাল দিল্লিসহ বিভিন্ন এলাকা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। মরসুমের প্রথম ভারী বৃষ্টিপাত এটি।

জলাবদ্ধতার কারণে রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন স্থানে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শহরে ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যা ১৯৮২ সাল থেকে জুলাই মাসে এক দিনে সর্বোচ্চ।

দিল্লি এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় রবিবারেও ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। গুরুগ্রামের বেশ কয়েকটি অংশ জলাবদ্ধতা এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছে।

দিল্লিতে ৫৮ বছর বয়সী এক মহিলার ওপর তার ফ্ল্যাটের সিলিং ভেঙে পড়ায় মৃত্যুবরণ করেছেন। আর রাজস্থানে বৃষ্টি সম্পর্কিত ঘটনায় চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে।

উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে রবিবার ভোরে প্রবল বৃষ্টিতে ঘর ধসে এক মহিলা ও তার ছয় বছরের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের সিমলায় একই ধরনের ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীরে, শনিবার পুঞ্চ জেলায় আকস্মিক বন্যায় ভেসে গিয়ে দুই সেনা সৈন্য মারা গেছে।

আইএমডি রাজস্থানের নয়টিরও বেশি জেলায় খুব ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে, রাজসামন্দ, জালোর, পালি, আজমির, আলওয়ার, বাঁশওয়ারা, ভরতপুর, ভিলওয়ারা, বুন্দি, চিতোরগড়, দৌসা, ধৌলপুর, জয়পুর এবং কোটা।

অবিরাম বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে রবিবার টানা তৃতীয় দিনের মতো বার্ষিক অমরনাথ যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়েতে প্রায় ৩হাজার যানবাহন আটকা পড়েছে।

সিমলা, সিরমাউর, লাহৌল এবং স্পিতি, চাম্বা এবং সোলানে ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার কারণে বেশ কয়েকটি রাস্তা অবরুদ্ধ হওয়ার পরে আবহাওয়া অফিস হিমাচল প্রদেশের সাতটি জেলার জন্য ‘রেড’ অ্যালার্ট জারি করেছে।

বিয়াস নদীর পানি বিপদসীমা লঙ্ঘন করায় কুল্লু জেলার জাতীয় সড়কের একটি অংশ ভেসে গেছে। হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের বেশ কয়েকটি অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে কারণ দুই রাজ্যে পারদ স্বাভাবিক সীমার নিচে নেমে গেছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। দুই রাজ্যের অভিন্ন রাজধানী চণ্ডীগড়ে দিনভর বৃষ্টি হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৯জুলাই/এসএটি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :