মির্জা ফখরুলকে ‘শেষ বার্তা’ দিলেন ওবায়দুল কাদের

নির্বাচনকালীন সরকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ‘শেষ বার্তা’ দিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবেন না। তিনিই নির্বাচনকালীন সরকারে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।’

এসময় পশ্চিমাদের উৎসাহ দেওয়া নিয়েও মির্জা ফখরুলকে সতর্ক করেন কাদের।

বুধবার আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপিকে সতর্ক করে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগের দিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব, দুনিয়ার অবস্থা ভালো না। অনেক উৎসাহিত হচ্ছেন। কারণ পশ্চিমারা নাকি উৎসাহ দিচ্ছে। তাদের (আমেরিকার) নিজেদের ঘর সামলানোই কঠিন। তারা ঘর সামলাবে নাকি আপনাকে উৎসাহ দেবে? উৎসাহ দেয়ার দিন শেষ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের বার্তা দিচ্ছে৷ দিনক্ষণ বলে দিচ্ছে কবে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হয়। আমি বলে দিতে চাই, আজ নয় কাল, এভাবে বলবেন না। আমি কে বার্তা দেয়ার? শেখ হাসিনা কার কাছে ক্ষমতা দেবে? শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবেন? না… তিনি পদত্যাগ করবেন না। বাংলাদেশের ম্যাজিক লিডার শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমিও বার্তা দিয়ে দিচ্ছি। শেষ বার্তা। আমি আপনাকে শেষ বার্তা এটাই দিচ্ছি আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। নির্বাচনে ইনশাআল্লাহ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আবারও শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদে বসবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের পকেট গরম। মাল পানি ভালো সরবরাহ। পকেট গরম। ওনার কথাও গরম। হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, আমাদেরকে ধমক দেয়। মির্জা ফখরুল পাঁচ তারকা হোটেলে নাস্তা করে অনশন করে ৩ ঘণ্টা। আড়াই ঘণ্টা পর বিদেশি জুস খাইয়া অনশন বন্ধ করে দেয়। এই আন্দোলন তারা করছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে। বিএনপির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে৷ বিএনপি হলো খুনির দল। এদের হাতে রক্ত।

‘অবরোধ করবেন? পাল্টা অবরোধ দেব। দাঁড়াতে দেব না। অবরোধ যারা করবে, তারাই সাধারণ মানুষের জন্য বাধা। বিএনপির বিরুদ্ধে মার্কিনিদের ব্যবস্থা কী হয়, সেটা দেখা হবে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এছাড়া শান্তি উন্নয়ন সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। এছাড়া আরও বক্তব্য দেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়রসহ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

(ঢাকাটাইমস/১৮অক্টোবর/জেএ/ইএস)