নগদ সহায়তা কাটছাঁটে রপ্তানি কতটা চাপে পড়বে?

তানিয়া আক্তার ও তাওহিদুল ইসলাম
 | প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৭

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তৈরি পোশাক ও চামড়াসহ ৪৩ খাতের পণ্যে নগদ প্রণোদনা কমিয়েছে সরকার। এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ। কারণ করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে টানাপোড়েন চলছে। আবার বাংলাদেশেও ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে, গ্যাসের সংকটসহ নানা কারণে ব্যবসায় দিন দিন খরচ বেড়েই চলছে। এমন সংকটময় মুহূর্তে রপ্তানিতে সরকারের নগদ সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্তে বড় ধরনের চাপের মধ্যে পড়বে এই খাত।

অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, রপ্তানিতে নগদ সহায়তার প্রভাব খারাপ হবে। তবে প্রণোদনা বা সহায়তা আর কতকাল দেবে? কারণ নগদ সহায়তার ওপর বেশি নির্ভরশীল হলে নিজেরা কোনো নতুন উদ্যোগ নেওয়ার চিন্তা করবে না। যেকোনো সংকট মুহূর্ত এলেই সরকারের সাহায্য নিতে হবে এমন চিন্তা-ভাবনা অর্থনীতির জন্য খুব একটা ভালো নয়।

২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এই লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সব ধরনের রপ্তানিতে প্রণোদনা কমানোর একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে।

গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন-পরবর্তী সময়ে রপ্তানি প্রণোদনা/নগদ সহায়তা সম্পূর্ণভাবে একত্রে প্রত্যাহার করা হলে রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সেজন্য সরকার এখন থেকেই বিভিন্ন ধাপে নগদ সহায়তা/প্রণোদনার হার অল্প অল্প করে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আগে রপ্তানি আয়ের ওপর ১ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তা প্রদান করা হতো, যাতে রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করা যায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলা যায়। এখন নতুন ঘোষণার পর সর্বোচ্চ হার ১৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ০.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাকি ছয় মাসে রপ্তানির বিপরীতে নগদ প্রণোদনার নতুন এই হার নির্ধারণ করে দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৩টি খাতে রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি প্রণোদনা/নগদ সহায়তা প্রদান করছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন) বিধিবিধান অনুসারে বিষয়টি রপ্তানিনির্ভর সাবসিডি হিসেবে বিবেচিত হয়।

এলডিসি থেকে বেরিয়ে এলে এ ভর্তুকি তুলে নিতে হবে; গ্র্যাজুয়েশনের বাকি সময়ে যাতে চাপ না হয় সেজন্য পর্যায়ক্রমে নগদ প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধিবিধান অনুসারে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হলে কোনো ধরনের রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেওয়া যায় না। তবে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর একবারে নগদ সহায়তা প্রত্যাহার করা হলে রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সে জন্য চলতি বছর থেকে অল্প অল্প করে নগদ সহায়তা কমানোর বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা পেতে আগের মতো সব শর্ত মানতে হবে। বহিঃনিরীক্ষক দিয়ে নিরীক্ষা করার বিষয়েও আগের মতো বাধ্যবাধকতা থাকবে। চলতি অর্থবছরের জন্য রপ্তানি বাণিজ্যের ৪৩ খাতে রপ্তানি প্রণোদনা, নগদ সহায়তা, বিকল্প সহায়তা, বিশেষ সহায়তা ও ভর্তুকির নামে উদ্যোক্তাদের সুবিধার ঘোষণা দেওয়া হয় ২০২৩ সালের আগস্টে। ওই সময়ে পুরো অর্থবছরের জন্য সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও ছয় মাস পর নতুন হার ঠিক করল সরকার।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এর প্রতিনিধি হাতেম আলী ঢাকা টাইমসকে বলেন, “গত বছর আগস্টে একটা প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হলো ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আমরাও সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে জানুয়ারি থেকেই এটি কার্যকর করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রেফারেন্স দিয়ে বলেছে, চিঠির প্রেক্ষিতে তারা এটি করেছেন। সেটি সঠিক নয়। কারণ কমার্স সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না এবং কোনো চিঠিও দেননি। এদিকে আমাদের সঙ্গেও কোনো বৈঠক করা হলো না। এটি নিয়ে এত লুকোচুরি কেন। রাতের আঁধারে কেন এই সিদ্ধান্ত এলো।”

তিনি বলেন, “অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা আগামী রবিবার এ নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছি। সেখানে আমাদের দাবি থাকবে চারটি। প্রথম দাবি হলো জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হতে পারে না। কমানোর ঘোষণা দিতেই পারে তবে তা কার্যকর করতে হবে পরবর্তী বছরে। দ্বিতীয়ত ২০২৬ সালের পর আমাদের প্রণোদনা আর থাকবে না কিন্তু পর্যায়ক্রমে তুলে নেওয়া হবে। তাতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু পর্যায়ক্রমে না করে কিছু কিছু পণ্যে প্রণোদনা বন্ধ করে দিয়েছে। এটি করা যাবে না। তৃতীয়ত ট্রেডিশনাল মার্কেটের তালিকায় অর্থাৎ জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার নাম ঢোকানো হয়েছে। এটি করা যাবে না। এটি আগের মতো নন-ট্রেডিশনাল মার্কেটের তালিকায়ই রাখতে হবে। চতুর্থত সরকার ৪৩টি খাতে প্রণোদনা দেয়। কিন্তু ৪২টি খাতে সরাসরি প্রত্যাবাসিত রপ্তানি মূল্যের ওপরে প্রণোদনা দেয়। আমাদের দেওয়া হয় জটিল প্রক্রিয়ায়। ফলে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তাই অন্য খাতের মতো সরাসরি প্রত্যাবাসিত রপ্তানি মূল্যের ওপরে অন্য খাতে যেভাবে দেয় আমাদেরও সেভাবে দিতে হবে।”

হাতেম আলী বলেন, “সরকার বলে যে আর কত বছর প্রণোদনা দেব। আমরাও চাই না আর প্রণোদনা দেওয়া হোক। কিন্তু বিশ্বের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন? এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের অর্থনীতি তালগোল পাকানো অবস্থায় আছে। আমাদের রপ্তানি কমে গেছে। এই সময় তো প্রণোদনা কমানো বা কিছু ক্ষেত্রে একেবারে তুলে দিতে পারেন না। যথার্থ সময় যখন হবে তখন প্রণোদনা তুলে দেন।”

‘তবে যথার্থ সময় কখনোই আসে না। ফলে সরকারের এখনকার সিদ্ধান্তই ঠিক আছে’ বলে জানিয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, “কোনো কিছু শুরুর জন্য ভালো সময় বলে কিছু নেই। আমি মনে করি এটা সরকারকে করতেই হতো। এছাড়া আরএমজির ক্ষেত্রে বলা যায়, তারা বেশ প্রতিষ্ঠিত। তাদের খুব অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ডলারের দাম বাড়ার কারণে তাদের লাভটা হয়েছে। তবুও তাদের মধ্যে হতাশা। কারণ লাভ কে হারাতে চায়। আমি মনে করি যে ২, ৩ ও ৪ শতাংশের জন্য ইন্ডাস্ট্রি মুখ থুবড়ে পড়বে না। তবে সরকারের পাওয়ার সাপ্লাই, গ্যাস সাপ্লাইয়ে নজর দেওয়া দরকার। এখানে খরচ বেশি বেড়ে যায়। এই জায়গায় সরকারের বেশি নজর দেওয়া দরকার। আর পোর্টের সুবিধা একটু ভালো করে দিলে তা এই ২-৩ শতাংশ লস কভার করা কিছুই না। এই জায়গায় সরকারের দেখা দরকার।”

এদিকে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ক্রাস্ট লেদার রপ্তানিতে প্রণোদনা পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে এবং ফিনিশড লেদারে ভর্তুকি ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে আগে ১৫ শতাংশ প্রণোদনা থাকলেও এখন থেকে তা কমে ১২ শতাংশ হবে।

ক্রাস্ট লেদার রপ্তানিতে প্রণোদনা পুরোপুরি তুলে দেওয়া বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, “ক্রাস্ট লেদারে প্রণোদনা পুরোপুরি তুলে দেওয়া কোনোভাবেই শিল্পের জন্য সহায়ক নয়। এটি ধাপে ধাপে কমিয়ে তারপর তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় গেলে অভিযোজন করতে পারতো। ক্রাস্ট লেদার মূলত সেমি ফিনিশড লেদার। বায়াররা এটি নিয়ে নিজেদের মতো কালার পরিবর্তন করতে পারে। ফলে এর চাহিদা বেশি থাকায় ৯০ শতাংশ রপ্তানি করতে পারি। কিন্তু সরকার সেখানেই প্রণোদনা একেবারে তুলে দিল। ফিনিশড লেদার রপ্তানি করছি ৫ থেকে ১০ শতাংশ অথচ সেখানে ৭ শতাংশ নগদ সহায়তা দেবে। ফলে সেক্টরের একটা বড় ক্ষতি হবে।”

এদিকে গত বুধবার বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানানোর পর তিনিও বেশ হতবাক হয়েছেন বলে জানান বিটিএ চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। তিনি বলেন, “বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীও হতবাক হয়ে বলেছেন যে, প্রণোদনা একেবারে শূন্যের কোটায় নেওয়া ঠিক হয়নি। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এই আশ্বাসও দিয়েছেন যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবেন যাতে একেবারে শূন্য না করে ধাপে ধাপে কমায়।”

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিক উজ জামান বলেন, “রপ্তানিতে নগদ সহায়তার প্রভাব খারাপ হবে। নগদ সহায়তা দেওয়ার কারণ, বিদেশের মার্কেটে যাতে আমাদের নেগেটিভ প্রভাব না পড়ে। কিন্তু আবার নগদ সহায়তার ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়লে নিজেরা কোনো নতুন উদ্যোগ নেওয়ার চিন্তা করে না। ফলে সরকারের সাহায্য না নিয়ে নিজেরা কীভাবে আরও বেশি করতে পারি সেটা ভাবতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ক্রাইসিস আসতে পারে- এমন চিন্তাভাবনা যদি নিজেরা না করি, যদি মনে করি ক্রাইসিস মুহূর্তে সরকারের সাহায্য নেব তা অর্থনীতির জন্য খুব একটা ভালো নয়। আমি মনে করি সরকারের কাছ থেকে অবশ্যই সাহায্য নেব। তবে সরকারেরও কিন্তু কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। সরকারেরও মূল্যায়ন করতে হবে যে, গত এক বছরে যে সহায়তা দিয়েছে তার আউটপুটটা কী। কারা সহায়তা নিয়ে ভালো করেছে আর কারা খারাপ করেছে। এটা না চাচ্ছে দিচ্ছি এমন করলে হবে না।”

এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন ঢাকা টাইমসকে বলেন, “সব কিছু মিলে আমরা চাপের মধ্যে আছি। চাপটা হলো, ইউটিলিটি বিল, বেতন এবং ব্যাংক লোনের ইন্টারেস্ট বেড়েছে। এটা কোন ধরনের রাজনীতির মধ্যে পড়েছি তা নিজেরাও জানি না। আমি যখন বেতন দিতে পারব না তখন বলব আমার এখন অভাব। টাকা আমি কোথা থেকে দেব? আমি যে এক্সপোর্ট দেব সেটা দিয়ে তো আনুষঙ্গিক খরচ মেকআপ করতে পারব না।”

তিনি আরও বলেন, “সরকার ডলারের মূল্যবৃদ্ধির সুফলের কারণ তো দেখাচ্ছে। কিন্ত আমি ৭০-৮০ শতাংশ ইমপোর্টের ওপর নির্ভর করি। আমার তো শ্রমিক ছাড়া কিছুই নেই। আমার তো সবই ইমপোর্টের। আর ইমপোর্ট তো করতে হয় সব ডলারে। এখন ডলারের মূল্য বাড়লেও ৭০-৮০ শতাংশ তো আবার ডলারেই পেমেন্ট করতে হয়। আমি কীভাবে বাঁচব? আগের থেকে টাকার মূল্য বাড়ছে আবার বেতনও তো বাড়ছে। আর ইউটিলিটি বিল ৮৭ শতাংশ বাড়বে। এই বিল আমি কোথা থেকে দেব? ধরেন, গত বছরে আমার ১০ কোটি টাকা গ্যাস বিল আসছে। সেখানে গ্যাস বিল এলো ৩০ কোটি টাকা। আমি তো বছরে ২০ কোটি টাকা লাভ করি নাই। এখন আমি এটা কোথা থেকে কাভার করব? হ্যাঁ ডলারের কারণে এটা আমি কাভার করছি। কিন্তু এটা কাভার করতে না করতেই আবার শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়ে দিলেন। ইউটিলিটি বিল বাড়ল, বেতন বাড়ল এখন সরকার বলছে ইনসেন্টিভ বন্ধ করে দেবে! সব মিলিয়ে এত চাপ যদি একটা লোকের ওপর পড়ে, ওই লোক ইন্ডাস্ট্রি চালাতে পারবে? এই সেক্টর মুখ থুবড়ে পড়বে। কেউ চালাতে পারবে না। সরকার কারো সঙ্গে কোনো বৈঠক করেনি।” গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, “আমার মনে হয় সরকার যেটা বলেছে যে আমরা এলডিসি থেকে যখন বেরিয়ে যাব তখন রপ্তানিতে প্রণোদনা আর দিতে পারব না। কিন্তু আমাদের রপ্তানিকারকরা বছর বছর ধরে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এটার সঙ্গে তারা যেন এডজাস্ট করতে পারে তা এখন থেকেই করা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় একেবারেই তুলে দেওয়া হয়েছে আবার কিছু কিছু জায়গায় এটাকে কমানো হয়েছে। এটা এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের একটা প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে চিন্তা করা যেতে পারে। আর সরকার বোধহয় চিন্তা করেছে যে এখন তো টাকারও অবমূল্যায়ন হয়েছে ক্রমান্বয়েই এবং এটা আরো অব্যাহত থাকবে। সেটার একটা সুবিধা কিন্তু রপ্তানিকারকরা পাবেন। কিছু দিন আগে তারা এক ডলার রপ্তানি করলে ৮৬ টাকা পাচ্ছিলেন। এখন এক ডলার রপ্তানি করলে ১১০ টাকা পাচ্ছেন। টাকার আরও অবনমন হবে। সেটা দিয়ে তারা সামাল দেবে এমনটা চিন্তা করেছে। তারপরও প্রতিযোগিতার সক্ষমতার সঙ্গে জড়িত বাণিজ্য সহায়ক যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে তাদের কার্যকারিতা ও সক্ষমতা, বিনিয়োগ পরিবেশ ইত্যাদিতে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। তবেই প্রতিযোগিতা ও সক্ষমতা বজায় রেখে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতাটা করতে পারবেন।”

(ঢাকাটাইমস/০৪ফেব্রুয়ারি/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

মে দিবস বোঝে না শ্রমিকরা, জানে ‘একদিন কাজ না করলে না খেয়ে থাকতে হবে’

গামছা বিক্রেতা থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক, মনে আছে সেই গোল্ডেন মনিরকে?

সোনার ধানের মায়ায় হাওরে নারী শ্রমে কৃষকের স্বস্তি

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর বার্তা দেবে আ. লীগ 

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন: চাহিদা বেড়েছে তরমুজের, ক্রেতা কম ডাবের

গাছ কাটার অপরাধে মামলা নেই 

কথায় কথায় মানুষ পেটানো এডিসি হারুন কোথায়? থানায় ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের তদন্ত কোথায় আটকে গেল?

মজুত ফুরালেই বাড়তি দামে বিক্রি হবে সয়াবিন তেল

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে ইরান-ইসরায়েল সংকট

ছাদ থেকে পড়ে ডিবি কর্মকর্তার গৃহকর্মীর মৃত্যু: প্রতিবেদনে আদালতকে যা জানাল পুলিশ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :