ঈদকে ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জি দোকানে 

রাজীব হোসেন, টঙ্গী-পূবাইল (গাজীপুর)
 | প্রকাশিত : ২১ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫০

গাজীপুরের টঙ্গীতে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জি দোকানিরা। নতুন কাপড় তৈরি করতে দর্জি দোকানে ভিড় করছেন নানা বয়সি মানুষ। আর বেশি ইনকামের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দর্জি কারিগররা। বিরামহীন ভাবে চলছে সেলাই যন্ত্রের খটখট শব্দ।

বৃহস্পতিবার সরজমিনে টঙ্গী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কাটার মাস্টারের কাঁচি চলছে নতুন কাপড়ের ওপর। সেই কাপড় চলে যাচ্ছে কারখানার কারিগরের হাতে। কারিগরেরা দিনরাত পরিশ্রম করে তৈরী করছেন নতুন পোশাক। কারখানা জুড়ে সেলাই মেশিনের ঘটঘট শব্দ। প্রচণ্ড গরমে শরীরে ঘাম ঝড়লেও মনের আনন্দে সেলাই করছেন দর্জিরা। অবিরাম ঘুরছে সেলাই মেশিনের চাকা। তৈরি হচ্ছে শার্ট, প্যান্ট, পাজামা, পাঞ্জাবিসহ মেয়েদের বাহারি ডিজাইনের সব পোশাক।

টঙ্গী বাজার, নতুন বাজার, টঙ্গী কলেজ গেইট, মিরের বাজার, পূবাইল বাজার এলাকায় নতুন কাপড় তৈরি করতে ব্যস্ত রয়েছেন দর্জি কারিগররা। তাদের হাতে যেন মোটেও সময় নেই। কেউ কেউ অর্ডার দিচ্ছেন নতুন শার্ট প্যান্টের, কেউবা নতুন পাঞ্জাবির, অনেক নারী ক্রেতা অর্ডার দিচ্ছেন জামা বানানোর। প্রতি পিস প্যান্ট সেলাই হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা, শার্ট ৩০০-৪০০ টাকা, মেয়েদের লেহেঙ্গা ৮০০-১২০০ টাকা, থ্রি পিস প্রকারভেদ অনুযায়ী ৪০০-৮০০ টাকা, ব্লাউজ পেটিকোট ২০০-৩০০ টাকা, বাচ্চাদের পোশাক ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে নেওয়া হয় মজুরি। নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে তৈরি পোশাক সরবরাহ করতে হবে অর্ডারকৃত ক্রেতাদের কাছে। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে সেলাইয়ের কাজ। কেউ মাপ নিচ্ছে কেউ কাপড় কাটছে কেউ আবার সেলাই করছে কেউ বোতাম লাগিয়ে আয়রন করে অর্ডার বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি জামা সাজিয়ে রাখছে দোকানে। আর এসব কাজ সময়মতো বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য প্রত্যেকটি টেইলার্সে অতিরিক্ত লোক নিয়োগ দিয়েছেন মালিকরা। ক্রেতারা বলছেন কেনা পোশাকের চাইতে বানানো পোশাক ভালো হয় তাই দর্জির দোকানে আসেন অনেকে।

কাপড় তৈরি করতে আসা ডাক্তার হাদিউল ইসলাম রুবেল জানান, ঈদের সময় সবাই চায় নতুন পোশাক পড়তে। তাই নিজের পছন্দমতো কাপড় গজ আকারে কিনে পছন্দমতো দর্জির দোকানে বানাতে দেই।

মিরের বাজারে অবস্থিত এশিয়ান টেইলার্সে আসা একজন ক্রেতা বলেন, প্রতি বছর নতুন কাপড় তৈরি করে পরি। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর কাপড়ের দাম বেশি। আবার কাপড় তৈরির মজুরিও একটু বেড়েছে। মেসকো টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী মাসুম মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, বিরতিহীনভাবে রাতভর কাজ করে ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক পোশাক তৈরির কাজ চালানো হচ্ছে। তবে ২০ রমজানের পরে আমরা আর অর্ডার নেব না। আমরা আশা করছি যদি বিদ্যুতের সমস্যা না থাকে তাহলে সবাইকে সময়মতো কাপড় ডেলিভারি দেব।

(ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :