চা-কফি রাতে খেলে পস্তাবেন, দুধ-চিনি মেশালে আরও ক্ষতি
আমরা চা ও কফির প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া জাতি। তাই তো টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া— সর্বত্রই এই দুই পানীয়ের কাপে চুমুক দিয়ে নিয়মিত দিন গুজরান করছেন কোটি কোটি বাঙালি। তবে মুশকিল হলো, চা-কফি খাওয়া অনেকের কাছে নেশার মতো হয়ে যায়।
সে কারণে অসময়েও অনেকে চা-কফির কাপে চুমুক দেন। বিশেষ করে রাতে এসব পানীয় পান করলে নাকি স্বাস্থ্যের বারোটা বাজে। এমনকি মনের ওপরও নাকি এই অভ্যাসের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আসলেই কি তাই? এ ব্যাপারে কী বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা? চলুন জেনে নিই।
গুণের রাজা চা
এক কাপ চায়ে রয়েছে ১৪ থেকে ১৭ মিলিগ্রাম ক্যাফিন। এই উপাদান মুড বুস্ট করতে সাহায্য করে। তাই চা খাওয়ার পরই মন হয়ে ওঠে চনমনে। এছাড়া চা হলো একাধিক উপকারী উপাদানের ভাণ্ডার, যা কি না হার্টের অসুখের ফাঁদ কাটানোর কাজে সিদ্ধহস্ত।
এমনকি নিয়মিত এই পানীয় খেলে হাই ব্লাড প্রেশারের মতো মরণব্যাধির ফাঁদও এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত চা পান করতেই পারেন। এতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
কফিরও গুণের শেষ নেই
চায়ের মতো কফিও কিন্তু অত্যন্ত উপকারী একটি পানীয়। ১ কাপ কফি থেকে মিলতে পারে ৯৫ থেকে ২০০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন। এই উপাদান আপনার উৎকণ্ঠা, অস্থিরতা কাটানোর কাজে সিদ্ধহস্ত।
শুধু তাই নয়, নিয়মিত কফির কাপে চুমুক দিলে হার্ট ডিজিজ থেকে শুরু করে টাইপ ২ ডায়াবেটিস, গলস্টোন, পার্কিনসনস ডিজিজের মতো অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাও কমবে। তাই এক কাপ কফি নিয়ে সকালটা শুরু হলে মন্দ হবে না!
চা-কফি কি রাতে খেতে নেই?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে চা, কফি এড়িয়ে চলাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ এসব পানীয়ে থাকা ক্যাফিন রাতের ঘুম নষ্ট করে। এমনকি বারবার পেতে পারে প্রস্রাবও। তাই রাতে চা বা কফি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। তবে সন্ধ্যাবেলায় অনায়াসে চা-কফি চলতে পারে। এতে কোনো অসুবিধা নেই।
দিনে কত কাপ চা-কফি খাওয়া উচিত?
এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মত, চা ও কফি যতই উপকারী পানীয় হোক না কেন, দিনে ২ থেকে ৩ কাপের বেশি খাওয়া উচিত নয়। কারণ, এতে শরীরে বিপাকের হার বিঘ্নিত হতে পারে। ফলে খিদের ইচ্ছা চলে যায়। অতিরিক্ত চা-কফি পান করলে দেহে আয়রন শোষণও হবে না। ফলে অ্যানিমিয়ার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে।
দুধ আর চিনি মেশাবেন না
চা বা কফিতে দুধ ও চিনি মেশালে তার উপকার তো মিলবেই না, উল্টো ওজন বাড়বে তরতরিয়ে। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটানোর ইচ্ছা থাকলে আপনাকে চা-কফিতে দুধ ও চিনি মেশানোর অভ্যাস ছাড়তে হবে। এটা করতে পারলেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্ত হবে।
(ঢাকা টাইমস/২নভেম্বর/এজে)
মন্তব্য করুন