বিজয়ের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা নেই, কোয়াবের সহযোগিতা চাইলেন দুই ক্রিকেটার

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:২৬| আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:২৭
অ- অ+

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএলের ১১তম আসর শুরুর পর থেকেই সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে। পারিশ্রমিক ইস্যুতে এত বদনাম রটেনি আর কোনো আসরে। তার উপর স্পট ফিক্সিং নিয়েও উঠেছে অভিযোগ।বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এরই মধ্যে ১০ জন ক্রিকেটারের নাম এসেছে।

বলা হচ্ছে, বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের সন্দেহভাজনদের তালিকায় নাকি এই ক্রিকেটাররা আছেন। এরই মাঝে খবর ছড়িয়ে পড়ে এনামুল হক বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের একটি সূত্র দেশের একটি গণমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেন। যদিও বিসিবির শীর্ষ পর্যায় থেকে পরে জানানো হয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে কাউকে এ রকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তাই বিজয়ের বিদেশযাত্রায় কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে বিসিবিতে কথা বলেছি। আমার জানামতে, এ রকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।’

এছাড়া সংবাদমাধ্যমে আসা ১০ জন ক্রিকেটারের অন্তত দুজন এসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন দাবি করে কোয়াবের সহযোগিতা চেয়েছেন। দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেবব্রত পাল বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কয়েকজন ক্রিকেটার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছেন যে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে। আমি মনে করি, যদি কোনো ক্রিকেটার সত্যিই এসবে জড়িত থাকেন, তাহলে বিসিবির সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদন্তে নিশ্চয়ই তা বের হয়ে আসবে। কিন্তু কেউ এসবে জড়িত না থাকা সত্ত্বেও যদি তাদের নাম বাইরে আসে, সেটি দুঃখজনক। এ ধরনের খবর ওই ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার এবং মর্যাদার জন্যও ক্ষতিকর।’

ফিক্সিংয়ের খবরে অবাক এনামুল নিজেও। একটি পত্রিকাকে তিনি জানান, 'আসলে কি বলবো, আমি এটা (দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা) জানি না পুরোপুরি। নিউজটা দেখছি শুধু আর কি।'

কেবল আজ নয়, এর আগেও স্পট ফিক্সিং ইস্যুতে গণমাধ্যমে নাম এসেছে এনামুলের। যা এনামুলের কাছে অবাক করার মতো।

তিনি বলেন, 'বিসিবি তো এগুলো দেখছে, তারাই আমাদের (ক্রিকেটের) অভিভাবক। এখন কেউ না জেনে না শুনে হুট করে একটা কথা বলে ফেলছে, খুবই কষ্টদায়ক আসলে। হ্যাঁ , বিসিবিকে জানিয়েছি আর বিসিবি আসলে কোনদিন কাউকে জানায়নি। উনারা কোথা থেকে নিউজগুলো পেয়েছে, বিসিবিও অবাক হয়েছে আসলে।'

এদিকে ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ফিক্সিং ইস্যুতে বলেছেন, ‘তদন্ত এখনও চলমান থাকায় আমাদের কিছু প্রটোকল মেনে চলতে হয়। সে কারণে আমি আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে পারব না। পুরো তালিকা এবং যেসব ম্যাচ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে সেসব আমাদের নজরে আছে এবং সেসব নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।’

কঠিন শাস্তির হুমকি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘যদি তদন্তে কোনো কিছু (প্রমাণ) বেরিয়ে আসে, এরপর যে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে সবাই জানেন। আমি যদি সেরকম কিছু পাই, তাদের জীবন কঠিন করে তুলব, আমি কারও অপরাধের ছাড় দেবো না। সিদ্ধান্ত একটাই আসবে এবং সেটি সবার জন্যই প্রযোজ্য হবে। সেটি হবে দৃষ্টান্তমূলক।’

(ঢাকাটাইমস/০১ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গাইবান্ধায় ঝড়ো হাওয়ায় বটগাছ ভেঙে নারীর মৃত্যু
ইয়েমেনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর বন্ধ
মালদ্বীপে ইন্টারন্যাশনাল আইকোনিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ইউএস-বাংলার কামরুল ইসলাম
২০০ বছরেও খোলা হয়নি রহস্যময় সিন্ধুকের কপাট
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা