চট্টগ্রামে প্রাইভেটকার আটকে ব্রাশফায়ার! নিহত ২, আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ২

চট্টগ্রামের বাকলিয়া এক্সেস রোডে একটি প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে ব্রাশফায়ার করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় প্রাইভেটকারে থাকা চারজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় বাকি দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। শনিবার দিনগত রাত পৌনে ৩টার দিকে বাকলিয়া এক্সেস রোডের মুখে এ ঘটনা ঘটে।
রবিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে ভোররাতে। তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ও মানিক নামে দুজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। গুরুতর আহত হৃদয় ও রবিন নামে আরও দুজন চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়েলিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক বলছেন, আহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলি লেগেছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ৩টার দিকে বাকলিয়া এক্সেস রোডের গুলজার বেগম মোড়ে প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। ভারী অস্ত্র নিয়ে বেশ কয়েকজন যুবক একটি প্রাইভেটকারকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। অল্প সময়ের মধ্যে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার মধ্যরাত থেকেই কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকায় বালু মহালের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অবস্থান করছিল সন্ত্রাসীদের দুটি গ্রুপ। এর মধ্যে চট্টগ্রামের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী সারোয়ার বাবলার নেতৃত্বে একটি প্রাইভেটকারে ছিলেন নিহত মানিক, আবদুল্লাহ, ইমন এবং রবিনসহ ছয়জন।
নগর পুলিশের উত্তর জোনের উপ-কমিশনার আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘বালুর মহালকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী সারোয়ার বাবলার সঙ্গে সন্ত্রাসী খোরশেদ, রায়হান এবং হাসান গ্রুপের দ্বন্দ্ব ছিল।’
তিনি জানান, ‘শনিবার রাতে বাবলা গ্রুপ ছয়জন নিয়ে একটি প্রাইভেটকারে ছিল। চার-পাঁচটি মোটরসাইকেল নিয়ে খোরশেদ গ্রুপ তাদের রাজাখালী ব্রিজ থেকে ধাওয়া করে। তাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। উভয়ের কাছে ভারী অস্ত্র ছিল।’
(ঢাকাটাইমস/৩০মার্চ/এজে)

মন্তব্য করুন