‘তারা কি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে?’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ আগস্ট ২০১৭, ২০:৪৩

ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে প্রকাশ করা পূর্ণাঙ্গ রায়ে একটি মন্তব্যকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জন্মে বঙ্গবন্ধুর অবদান অস্বীকারকারীদের দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস রয়েছে কি না, তা নিয়ে তার সন্দেহ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গণভবনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন ।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে প্রধান বিচাপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোনো একক ব্যক্তির কারণে হয়নি।’

বৃহস্পতিবার এই রায় নিয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য অনেক বিষয়ের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির এই বক্তব্যেরও তীব্র সমালোচনা করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ‘আমরা মর্মাহত’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যে আন্দোলনগুলো হয়েছে তারই ফলশ্রুতিতে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বোভৌম বাংলাদেশ। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধকালে বঙ্গবন্ধু হয়তো পাকিস্তানের কারাগারে ছিলেন কিন্তু তারই নেতৃত্বে তারই আদর্শে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল।’

‘এটা ভুললে চলবে না যে, জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ছাড়া এ দেশে আর কেউ ১৩ বছরের অধিক কারাভোগ করেন নাই। তাই প্রধান বিচারপতির এই বক্তব্য আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। ইতিহাস এ কথাও বলে যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীকার আন্দোলন শুরু হয়েছিল এবং ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জনগণের দেয়া ক্ষমতায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।’

একই দিন গণভবনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন.. ইয়াহিয়া খান ২৬ মার্চ যখন ভাষণ দিয়েছিলেন, তখন অন্য কারও কথা বলেনি…প্রহসনমূলক বিচার করে ফাঁসির রায়ে পর্যন্ত সই করে দিয়েছিলেন।’

‘কই, ইয়াহিয়া তো জিয়াকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেনি। তার কথাও বলেনি। তিনি শুধু একজনের কথা বলেছিলেন, সেটা হল জাতির জাতির জনক। তাকে দোষারোপ করে পাকিস্তানের শত্রু হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। কাজেই এই সত্যটা যে উপলব্ধি করতে পারবে না, সে আদৌ বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে কি না, আমার সন্দেহ।”

অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেণ শিকদার বলেন, ‘পৃথিবীর মানুষ জানে যে কার জন্য এই ভূখণ্ডের জন্ম। যে কথা ড.কামাল হোসেন আর ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সে কথা রায়ে কীভাবে আসে?’।

মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন দীপু, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ পালিত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/টিএ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :