‘নো বল’ ধরতে প্রযুক্তির দ্বারস্থ আইসিসি

অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হতে যাচ্ছে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ অবধি চলবে এই টুর্নামেন্টটি। আসন্ন এই নারী বিশ্বকাপে পায়ের ‘নো বল’ ধরতে প্রযুক্তি ব্যবহার করবে আইসিসি। বোলারদের ফ্রন্ট ফুট নো বলের ক্ষেত্রে মাঠের আম্পায়াররা নন, সিদ্ধান্ত নেবেন তৃতীয় আম্পায়ার। প্রথমবারের মতো আইসিসির বড় টুর্নামেন্টে ব্যবহৃত হতে চলছে এই প্রযুক্তি।
টিভিতে প্রতিটা বলের উপরে নজর রাখবে তৃতীয় আম্পায়ার। তাদের উপরে দায়িত্ব থাকবে কোনও ফ্রন্টফুট নো বল হচ্ছে কি না তা দেখা। তৃতীয় আম্পায়ারের নির্দেশনা ছাড়া পায়ের কোনো ‘নো বল’ ডাকতে পারবেন না অনফিল্ড আম্পায়াররা। তবে বাকি সব নো বলের সিদ্ধান্ত নিবেন অনফিল্ড আম্পায়ার।
এই নো বলের নিয়ম হলো, বল ডেলিভারির সময় কিঞ্চিত অংশ হলেও বোলারের সামনের পা পপিং ক্রিজের লাইনের ভেতরে থাকতে হবে। যদি না থাকে তা হলে সেটা নো বল বলে গণ্য হবে। টেলিভিশনে সেটাই দেখবেন তৃতীয় আম্পায়ার।
অনেক সময় বোলার বল ছোঁড়ার সময় তার সামনের পায়ের অবস্থানের ছবি দেখেও নো বল ধরা কঠিন হয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে ‘বেনিফিট অব ডাউট’-এর সুবিধা বোলারই পাবেন বলে জানিয়েছে আইসিসি। আবার এমনও হতে পারে, ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর তৃতীয় আম্পায়ার ধরতে পারলেন ডেলিভারিটি নো বল ছিল। মানে বোলার ‘ওভারস্টেপ’ করেছেন। তখন ব্যাটসম্যান আবারও ব্যাট করতে পারবেন।
পরীক্ষামূলকভাবে এর আগে ২০১৬ সালে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান ওয়ানডে সিরিজে বোলারদের ‘ফ্রন্ট ফুট নো বল’ ধরেছিলেন টিভি আম্পায়ার। সম্প্রতি ১২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। বোলারদের করা ৪ হাজার ৭১৭টি বলের মাত্র ১৩টিতে পায়ের ‘নো বল’ ডাকেন থার্ড আম্পায়ার।
এই প্রযুক্তির বিষয়ে আইসিসির মহাব্যবস্থাপক জিওফ অ্যালারডিস বলেন, ‘ক্রিকেটে ভুল কমানোর লক্ষ্যে নতুন প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়। আসন্ন নারী বিশ্বকাপে আমরা নো বল প্রযুক্তি যুক্ত করতে যাচ্ছি।’
(ঢাকাটাইমস/১২ ফেব্রুয়ারি/এআইএ)

মন্তব্য করুন