দাঁতের স্কেলিং কেন করবেন

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট ২০২১, ১৪:৪১

সুস্থ দাঁত মানুষের হাসির সৌন্দর্যের আকর্ষণীয়তা বৃদ্ধি করে। সুন্দর হাসি দিয়ে মন জয় করা যায়। কিছু অযত্ন ও অবহেলার কারণে আমাদের অনেকের সেই আশা পূরণ হয় না। হাসি দিলেও সে হাসি সুন্দর হয় না। আর সুন্দর হাসির না হওয়ার কয়েকটি কারণের মধ্যে হলো ঠিকমতো দাঁত পরিষ্কার না করা বা ঠিক সময় স্কেলিং না করা। বিশেষ করে দাঁত স্কেলিং করা নিয়ে অনেকেই সঠিক নিয়ম জানেন না কিংবা বিষয়টি হেলায় ফেলায় দেখেন। একটা সময় এই পরিণাম ভোগ করতে হয়।

দাঁত ও মাড়ির মাঝে অনেক খাবার আটকে থাকে। নিয়মিত ব্রাশ করলে সেটা চলেও যায়। কিন্তু যদি এই সামান্য খাবারের অংশ লেগে থাকা অবস্থায় ব্রাশ না করা হয়, তাহলে সেটা কিছুটা শক্ত হয়ে যায়। একে বলে প্লাক। এই কিছুটা শক্ত হয়ে যাওয়া প্লাকের কিছু অংশ পরে ব্রাশের সঙ্গে উঠতে চায় না। আর প্রত্যেকবার এ রকম একটু একটু প্লাক জমে শক্ত হয়ে তৈরি হয় ক্যালকুলাস বা পাথর। ক্যালকুলাসকে পরিষ্কার করার প্রসেসের নামই হলো স্কেলিং। এটি সাধারণত আল্ট্রাসনিক মেশিনে করা হয়।

স্কেলিং করার প্রয়োজনীতা নির্ভর করে একজন মানুষের লালার ওপর। কারো লালা ভারী কারো লালা পাতলা। ভারী লালা যাদের তাদের স্কেলিং বেশি প্রয়োজন পড়ে কারণ মুখ ওয়াশআউট কম হয়। এছাড়া যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে। যাদের হজমে অসুবিধা হয়। যাদের শক্ত খাবার খাওয়া অভ্যাস কম। যাদের নরম ও মিষ্টি খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেশি তাদের স্কেলিং করার প্রয়োজন পড়ে।

এছাড়া যাদের সিস্টেমিক ডিজিজ, ডিএম, সিকেডিসহ বিভিন্ন জটিল রোগ আছে তাদের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন পড়ে।

স্কেলিং করলে দাঁতের মোটেই কোনও ক্ষতি হয় না। বরং লাভই হয়। দাঁতের ফাঁকে ময়লা জমে। যাকে দাঁতের পাথর বলা হয়। এগুলো জমে থাকলেই দাঁতের ক্ষতি হয়। পরিষ্কার করে দিলে কোনও ক্ষতি হয় না।

চিকিৎকের মতে, স্কেলিং করলে দাঁতের এনামেলের উপর প্রভাব একেবারেই পড়ে না। মনে করুন, একটা কেটলির ভিতরে পানির আয়রন জমা হয়েছে। সেটা দুইভাবে পরিষ্কার করা যায়। রগড়ে রগড়ে। আর ঠুঁকে। ঠুঁকে পরিষ্কার করলে কেটলির ধাতব স্তরে কোনও প্রভাব পড়ে না। এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই দাঁতের ক্ষেত্রেও ঠুঁকে পরিষ্কার করা হবে। দাঁতের পাথর সাফ করতে আল্ট্রাসনিক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। দাঁতের এনামেলের স্তরে তার প্রভাব পড়ে না।

চিকিৎসকের মতে, পাথর পরিষ্কার হয়ে গেলে, দাঁতের ভিতরটা খালি লাগে। সেই কারণে কারও কারও অস্বস্তি হয়। ভয়ও পান অনেকে। সেটাই এমন ভুল ধারণা ছড়ানোর জন্য দায়ী।

শিশুদেরও স্কেলিং অবশ্যই করা দরকার। স্কেলিং শিশুদের জন্যও সম্পূর্ণ নিরাপদ।

দাঁতের স্কেলিং বছরে একবার করাতেই হবে। খাদ্যাভ্যাস, দাঁত মাজার অভ্যাস, কোনও নেশা করেন কি না— তার উপর নির্ভর করে কত দিন অন্তর স্কেলিং করাতে হবে। যেমন যারা প্রচুর পানমশলা খান, তাদের আরও ঘনঘন স্কেলিং করতে হবে। দাঁতের স্কেলিং মাড়ির যেকোনো রকম সমস্যা থেকেও মুখকে রক্ষা করে। দাঁতের সুস্বাস্থ্য এবং সুরক্ষার জন্য স্কেলিং করার কোন বিকল্প নেই।

(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :