তালেবানকে স্বীকৃতি নয়, সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র

তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে বসলো। দুই দিনব্যাপী বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে, বৈঠকে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। এখনই তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়া হবে না তবে তাদের সাহায্য করা হবে।
কাতারের দোহায় মুখোমুখি বৈঠকে বসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবানের শীর্ষ প্রতিনিধিরা। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সুরক্ষা ও সন্ত্রাসবাদ নিয়েই মূলত কথা হয়েছে। খবর বিবিসির
আফগানিস্তানে এখনো কিছু মার্কিন নাগরিক থেকে গেছেন। তাছাড়া যেসব আফগান গত ২০ বছর যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করেছেন এবং যারা দেশ ছাড়তে চান, তারা যাতে নিরাপদে ফিরতে পারেন, তা নিয়েও কথা হয়েছে। তাছাড়া আফগান সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেয়েদের যোগদানের বিষয়টিও আলোচনায় উঠেছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি জানাচ্ছে, দুই পক্ষের মধ্যে খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে। তালেবান নেতাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে, তারা কী বলছেন, তার থেকে, তারা কী করছেন, তার উপরেই সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য, কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয়া বা তালেবান শাসনকে বৈধতা দেয়া নিয়ে কথা হয়নি। বরং বাস্তবসম্মত বিষয়গুলি নিয়ে কথা হয়েছে।
তালেবান মুখপাত্র বলেছেন, আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন কর্মকর্তাদের বলেছেন, তারা আফগানিস্তানের মাটি থেকে কাউকে কোনো সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম করতে দেবেন না।
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক সহিংসতার পিছনে আইএস আছে। আফগানিস্তানে তারাই বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
তালেবান আফগানিস্তানের শাসনভার নেয়ার পর সেখানে এখন অর্থনীতির অবস্থা শোচনীয়। যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের ৯০০ কোটি ডলারের সম্পদ ফ্রিজ করে দিয়েছে। ফলে আফগানিস্তানে ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপর প্রবল চাপ পড়েছে। জিনিসের দাম খুবই বেড়ে গেছে। মানুষের হাতে অর্থ নেই। জাতিসংঘ জানিয়েছে, আফগানিস্তানে অভুক্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
ঢাকাটাইমস/১১অক্টোবর/একে

মন্তব্য করুন