হিরো আলমকে নিয়ে নিউজ করায় সাংবাদিকের ওপর যুবলীগ নেতার হামলা

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫:১৬ | প্রকাশিত : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫:০০

বগুড়ায় আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে নিয়ে নিউজ করায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা। বুধবার রাতে শহরের টেম্পল রোডে জেলা আওয়ামী লীগ অফিস সংলগ্ন টাউন ক্লাবে এই হামলা ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার দুই সাংবাদিক হলেন, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও কালের কণ্ঠের বগুড়া প্রতিনিধি জেএম রউফ এবং দৈনিক বগুড়ার সিনিয়র রিপোর্টার জহুরুল ইসলাম।

হামলাকারী শরিফুল ইসলাম শিপুল বগুড়া জেলা যুবলীগের সহসভাপতি। হামলার সময় তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।

হামলার শিকার বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জেএম রউফ জানান, তিনি টাউন ক্লাবের অফিসে (ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে) বসে উপনির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলনের নিউজ লিখছিলেন। সেসময় ওই কক্ষে ছিলেন দৈনিক কালবেলার বগুড়া ব্যুরো প্রধান প্রদীপ মহন্ত ও দৈনিক বগুড়ার জহুরুল ইসলাম ছাড়াও তার আরো দুই বন্ধু।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে যুবলীগ নেতা শিপুল মদ্যপ অবস্থায় সেখানে প্রবেশ করেন। তিনি (রউফ) সেসময় হিরো আলমের সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও তার পত্রিকার মেইলে দিয়েছেন জানিয়ে মোবাইলে অফিসকে অবহিত করছিলেন।

এটি শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন ভাষায় গালাগাল শুরু করেন শিপুল। 'সাংবাদিকরা হিরো আলমকে রাজনীতিক বানাচ্ছে' এমন অভিযোগ তুলে তিনি রউফের ওপর হামলা চালিয়ে লাঞ্ছিত করেন। সেখানে উপস্থিত অন্যরা রউফকে উদ্ধার এবং শিপুলকে ওই অফিস থেকে বের করে দেন। তার ৫ মিনিটের ব্যবধানে শিপুল আবারো সেখানে প্রবেশ করে সাংবাদিক জহুরুলের ওপর হালমা করেন। তিনি জহুরুলের গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা চালান। সেসময় তাদের চিৎকারে টাউন ক্লাবের কর্মচারিরাসহ বাইরের কয়েকজন লোক গিয়ে শিপুলকে নিবৃত্ত করে।

খবর পেয়ে সদর থানা ও সদর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে শিপুল পালিয়ে যান। তাকে আটক করতে রাতেই পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান করেও ধরতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। যদি তারা অভিযোগ চায় দেবো। গতকাল চাইলে রাতেই দিতাম। পুলিশ আমাদের জানিয়েছে অভিযুক্তকে আগে আমরা ধরে নিয়ে পরে আপনাদের সাথে কথা বলবো। এখনও ধরতে পারেনি। গতকাল নাকি তার বাড়িতেও গিয়েছিল। তার মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবু কুমার সাহা বলেন, আমরা এখনও অভিযোগ পাইনি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতকে ধরতে গতকাল (বুধবার) রাতে তার বাড়িসহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২ফেব্রুয়ারি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :