সুদান নিয়ে আলোচনা করতে সৌদি আরবে জাতিসংঘের শীর্ষ ত্রাণ কর্মকর্তা
জাতিসংঘের শীর্ষ ত্রাণ কর্মকর্তা সুদানের যুদ্ধরত জেনারেলদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করার লক্ষে সৌদি আরবে গেছেন। রবিবার তিনি সৌদি আরব পৌঁছান বলে এএফপি জানিয়েছে।
সুদানের রাজধানীতে বন্দুকযুদ্ধ এবং বিমান হামলার চতুর্থ সপ্তাহের শুরুতে সেখানের মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমেই উদ্বেগ বাড়ছে। সুদানের এমন পরিস্থিতি নিরসনে সৌদি আরব উদ্যোগ নিচ্ছে বলে খবর এসেছে।
সুদান বিশ্বের অন্যতম দারিদ্র পীড়িত দেশ। গত ১৫ এপ্রিল দেশটির সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়। এরপর একাধিক যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হলেও কোনটিই কার্যকর হয়নি।
সুদানে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইতোমধ্যে শত শত লোক নিহত ও হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।
যুদ্ধের কারণে ‘ভয়াবহ’ মানবিক সংকটের একাধিক সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়। সুদানে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ায় এক লাখেরও বেশি মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। যারা দেশটি ছেড়ে চলে যেতে পারেনি তারা পানি, খাবার, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মারাত্মক অভাবের মুখে পড়েছে।
উত্তরপূর্ব খার্তুমের হাজ ইউসিফ জেলার বাসিন্দা আহমেদ আল-আমিন এএফপিকে বলেন, তিনি তাদের মাথার ওপর দিয়ে যুদ্ধবিমান চক্কর দিতে দেখেছেন এবং বিভিন্ন বিস্ফোরণ এবং বিমান বিধ্বংসী গোলার শব্দ শুনেছেন।
সৌদি নগরী জেদ্দায় সুদানে একটি যুদ্ধবিরতির লক্ষে আলোচনা চলমান রয়েছে। আর এ আলোচনায় দেশটির অবরুদ্ধ জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা আনার প্রচেষ্টা জোরদার করতে পারে।
জাতিসংঘ জানায়, যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেও সুদানের এক-তৃতীয়াংশ মানুষের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন ছিল। এই যুদ্ধে অনেক ত্রাণকর্মীও নিহত হয়েছে। হামলা হয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য স্থাপনায়।
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে সুদানে ‘তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষের’ সংখ্যা ২০ লাখ থেকে ২৫ লাখ বাড়তে পারে। এমনটা হবে বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন।
(ঢাকাটাইমস/০৮মে/ডিএম)